Date : 2024-04-19

ভারত আজ ব্রিগেডমুখী…

কলকাতা: উনিশে ভারত ব্রিগেডমুখী। ২০ টি রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশে জনতার প্লাবন শহরে। সকাল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্রিগেডমুখী। শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন, বাবুঘাট লঞ্চ ঘাটেও জনতার ঢেউ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ সড়ক পথে কেউ রেলপথে কেউ বা জলপথে পাড়ি দিয়েছেন ব্রিগেডের এই সভাকে সার্থক করে তুলতে। ১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেডের এই সমাবেশ আবারও রাজ্যে বিজেপি বিরোধিতার রণডঙ্কা ঘোষণা করলো। এই মঞ্চে একদিকে যেমন কংগ্রেসের প্রতিনিধি মল্লিকা অর্ডুন খাড়গে, অভিষেক মনু সিং ভি রয়েছেন ঠিক তেমনই থাকবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌরা, ফারুক আবদুল্লা, চন্দ্রবাবু নাইডু, অখিলেশ যাদব। রয়েছেন বিজেপি বিরোধি শিবিরের কেন্দ্রস্তরীয় নেতৃবর্গ। মমতার ঐক্যবদ্ধ ভারত স্লোগানকে সমর্থন করে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি রাহল গান্ধীর চিঠিতে বার্তা দিয়েছেন, ‘আগামী দিনে দেশ গঠনে বাংলাই নেতৃত্ব দেবে। ‘মোদী সরকার হঠাতে আমরা জোটবদ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই পরিশ্রমী ব্যক্তি।’ এমনই বার্তা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌরার। ‘বিজেপির শাসনকালে দেশে আগুন জ্বলছে। দেশে আশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র বাঁচাতে আমরা একজোট হয়েছি।’ বললেন ফারুক আবদুল্লা ও চন্ড্রবাবু নাইডু। ব্রিগেডের আহ্বানে শহরে পা রেখেই সপা নেতা অখিলেশ সিং যাদব বার্তা দিলেন, ‘দেশ নতুন প্রধানমন্ত্রী চায়। আর সেই পরিবর্তনের বার্তা বাংলার এই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই ছড়িয়ে পড়বে গোটা ভারতে।’ আর তাই এই ঐক্যবদ্ধ ভারতের ঐতিহাসিক জনসভায় উপস্থিত থেকে নিজেদের বিরল মুহুর্তের সাক্ষী হিসেবে গড়ে তুলতে সকাল থেকেই লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা জমায়েত হয়েছেন ব্রিগেডের মাঠে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট বার্তায় ঘোষণা করেছেন, ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক শক্তিশালী ও উন্নয়নশীল ভারত গড়বে।’

পাশাপাশি ব্রিগেডে আগত লক্ষ লক্ষ কর্মী সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। চলছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে কড়া নজরদারি। ৫ মঞ্চের নিরাপত্তায় থাকছেন ৮ ডেপুটি কমিশনার। ব্রিগেডের বাইরে আরও ৩টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়। এখন অপেক্ষা শুধু কর্মী-সমর্থকদের আশা পূরণের।