ওয়েব ডেস্ক: ক্ষণিকের অতিথি জেনেও নাচে গানে সকলের মন জয় করে চলেছে আদিলা। হাজারও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেই বেশি আগ্রহী। হাতে আর তার মাত্র দুটো বছর। যখন মানুষ সবে জীবনের আস্বাদ নিতে শুরু করে তখনই জীবনের শেষ প্রহর গুনতে শুরু করেছে বছর এগারোর শিশু আদিলা। আর মাত্র কয়েকটা দিনের অতিথি আদিলা, তাই চুটিয়ে জীবনের স্বাদ মিটিয়ে নিচ্ছে সে। সাজগোজ, মজা, আনন্দের মাঝেও তার মা বাবা-র বুকে জমছে কান্না। তাদের ছোট্টো মেয়ে আদিলা প্রোজেরিয়া রোগে আক্রান্ত। মাত্র ১১ বছর বয়সে জিনের বিরলতম রোগের শিকার সে। কম বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া আদিলাকে দেখে ‘পা’ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের কথা মনে পরে যায়। প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত জন্মের সময় সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে। জন্মের পর দশ থেকে ২৪ মাস সাধারণত তাদের শরীরে তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। কিন্তু তারপরেই যেন রাতারাতি বুড়িয়ে যেতে থাকে প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা। তেমনই হয়েছে আদিলার ক্ষেত্রেও। আমেরিকার টেক্সাসে জন্ম এই শিশুটির প্রকান্ড মাথার প্রায় সব চুলই উঠে গেছে। চোখ ঠেলে বেড়িয়ে এসেছে আদিলার। তবুও তার মুখে হাসি। অন্যান্য শিশুদের মতোই স্বাভাবিক জীবনে থাকতে ভালো লাগে তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার হাসি মুখ বিরল এই রোগের বিরুদ্ধে লড়তে আর জীবনকে ভালোবাসতে শেখায়। আক্ষেপ আর দুশ্চিন্তার কোনো ছাপ নেই তার চেহারায়। বরং প্রস্ফুটিত শৈশব নিয়ে সহজেই পৃথিবীর সবটুকু আনন্দ চেটেপুটে নিতে চায় সে। ইন্টারনেটের জগতে এখন সে প্রজেরিয়া রোগের বিরুদ্ধে অন্যতম ‘অনুপ্রেরণা’। অকালে চলে যেতে হবে তাকে, ক্ষণস্থায়ী অদিলা যেন দিনের শেষে সন্ধ্যামালতী ফুল|