Date : 2024-04-19

‘কন্ডোম গলি’ থেকে বেছে কিনুন মনপসন্দ কন্ডোম!

ওয়েব ডেস্কঃ ধর্মতলায় নিজের হাতে বেছে পোশাক তো বহু কিনেছেন, এবার বেছে কন্ডোম কিনতে চান? চলে আসুন মোতি শীল স্ট্রিটে। পেয়ে যাবেন হরেক রকম কন্ডোম। কর্মসূত্রে কলকাতায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের আসা যাওয়া চলে। তবে তিলোত্তমার বুকে গড়ে ওঠা এক ম্যাজিক্যাল স্ট্রিটের খবর অনেকেরই অজানা। অন্যদিকে, ঠিক এই ব্যাপারে ততটাই ওয়াকিবহাল মফঃস্বল থেকে আসা ছেলে-ছোকরারা। ‘ছেলেরা’ এই শব্দটা ব্যবহার করার কারণ,ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এই জগৎ সম্পর্কে একটু কমই অবগত হয়ে থাকেন। কারণ বরাবরই এইসব বিষয়ে মেয়েদের সামনে নিষেধের লাল চোখরাঙানি ঝাপটে বেড়িয়েছে। আর সেই বাধা উপেক্ষা করে অনেক সময়ই মেয়েরা সেই জাদুনগরী থেকে হাজার গুণ দূরে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে মফঃস্বল থেকে আসা ছেলেরা কলকাতায় যখন তাদের আশ্রয় খুঁজে ফিরত তখন তাদের কাছে নিছকই আনন্দ ছিল ভিক্টোরিয়ার সবুজ গালিচা মোড়া মাঠ, কিংবা ময়দানের সবুজ কার্পেটে দাপানো চামড়ার ফুটবল। আর খুব প্রয়োজনে শহরের নিউ এম্পায়ার, লাইট হাউস, গ্লোব, মেট্রো ইত্যাদি সিনেমা হল হয়ে উঠত তাদের আশ্রয়। তবে যখন থেকে তারা শহর আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয় তাদের পায়ে পায়ে সামনে আসে সেই গলির সন্ধান। তিলোত্তমার যে গলি তাদের এক লহমাতেই কিশোর থেকে যুবক করে তোলে। গলিটির নাম মোতি শীল স্ট্রিট ওরফে ‘কন্ডোম গলি’। যে রাস্তাটি কর্পোরেশন আর রিগ্যাল সিনেমা হলের মাঝখান দিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগিয়েছে তার ঠিক বিপরীত দিকের রাস্তাটিরই পোশাকি নাম মোতি শীল স্ট্রিট। এই রাস্তাটি সোজা গেলেই নাগালে পাবেন চাঁদনি চক। একটা সময় ‘কন্ডোম’ শব্দটার তেমন চল ছিল না। ‘নিরোধ’ নামে ডাকতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করত শহরতলি বা মফঃস্বলের ছেলেরা। যাকে হাতে নিয়ে পরখ করতে পারাটাই ছিল তখনকার বড় হয়ে ওঠার বিশেষ লক্ষণ।