কলকাতা: রাজ্যে বিজেপির রথের চাকা আটকে গেলেও দমল না বিজেপির সারথীরা। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ২০১৯ লোকসভা ভোট। বিমুদ্রাকরণ থেকে জিএসটি চালু, একাধিক ইস্যুতে ঘরে বাইরে প্রশ্নের মুখে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যে নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে ও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার নামে রথ যাত্রার কর্মসূচীর আয়োজন করে। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারণে রাজ্য সরকারের অনুমতি না মেলায় প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে ও পরে সুপ্রিম কোর্টে অ্যাপিল করেও রথযাত্রার অনুমতি আদায় করতে ব্যর্থ হয় পদ্ম শিবির। তাতেও অবশ্য দমে থাকেনি পদ্ম শিবির। এদিন কলকাতায় বিজেপির সদর কার্যালয় থেকে সংবাদিক সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রথযাত্রা বন্ধ হয়ে গেলেও এর বিকল্প কর্মসূচী হিসাব রাজ্যের পাঁচ জায়গায় জনসভা করার কথা জানান তিনি। আগামী ২০ জানুয়ারি মালদহে শুরু হবে প্রথম জনসভা। ২১ জানুয়ারি সভা হবে সিউড়ি ও ঝাড়গ্রামে এবং পরবর্তী জনসভা হবে ২২ জানুয়ারি কৃষ্ণনগর ও জয়নগরে । বিজেপির প্রতিটি জনসভায় উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাছাড়া ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা করা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আরও দুটি সভা করতে পারেন। রথযাত্রা থমকে গেলেও রাজ্যে কর্মীদের মন বল অটুট রাখতে কোন সুযোগ ছাড়তে রাজী নয় তারা। এদিকে ১৯ শে জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী জোটের অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে ব্রিগেডের ময়দানে। সমাবেশে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী শীর্ষ সংগঠনগুলির মুখ্য ব্যক্তিরা। তাই বিজেপি বিরোধী জোটের দমকা হাওয়ার সামনে রথ যাত্রার বিকল্প সমাবেশের এই চেনা হাতিয়ারে বিজেপি কি বাংলার ভোটের ময়দান থেকে ফসল তুলতে পারবে ? লাখ টাকর প্রশ্ন এখন এটাই।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.