ওয়েব ডেস্ক: নোটবন্দী থেকে শুরু করে অযোধ্যা ইস্যু, দেশজুড়ে বিজেপির জন-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে অঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জাতীয়স্তরে বিরোধী জোট গড়ে তোলার জন্য ব্রিগেড সমাবেশের কথা গত বছর ২১-এর মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মতো সর্বস্তরে শুরু হয় তৎপরতা। ব্রিগেডের সমাবেশ মঞ্চ থেকে একে একে ২৪টি আঞ্চলিক দলের প্রধান ও প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। ব্রিগেড ময়দানে জনপ্লাবন দেখে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলের নেতারা উৎসাহিত ছিলেন। সভার প্রারম্ভে হার্দিক প্যাটেল স্বাধীনতায় বাংলার অবদানকে তুলে ধরে বাংলার জয়গান করেন। এরপর একে একে জিগনেশ, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং সহ একাধিক আঞ্চলিক দলনেতা বিজেপি বিরোধী অঞ্চলিক শক্তিগুলোকে একজোট হওয়ার বার্তা দেন। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে এনআরসি-র মতো ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভেঙে দেওয়া চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেন তারা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে অসম, ঐক্যবদ্ধ ভারতের মঞ্চে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের রঙ মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে শুধুমাত্র বিজেপি-র বিরুদ্ধে দেশজুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য। উপচে পড়া ব্রিগেড ময়দানের সভাস্থল যেন দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের উপস্থিতিতে রামধনুর চেহারা নিয়েছিল। নানা ভাষা আর মতাদর্শের মানুষ এক রাজনৈতিক মঞ্চে এভাবে আগে আসেনি, তাই ব্রিগেডের এই মহাসমাবেশ ভারতের রাজনীতিতে এক ইতিহাস রচনা করল। আগামীদিনে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী কে হতে চলেছেন, সেই প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুললেন ভারতের তাবর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভার শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন-” কেন্দ্রে বিজেপির সরকারের এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গেছে। সংবিধান থেকে ইতিহাস সবই বদলে ফেলছে বিজেপি তাই এবার বিজেপিকে বদলে ফেলা হোক। লালু প্রসাদ, মায়াবতী, অারবিন্দ এমনকি আমাকেও ছাড়েননি মোদী । আমরা কেন ছেড়ে দেব”। দেশে ভাবি প্রধানমন্ত্রী কে হবে সেই বিষয় পরে স্থির করা যাবে, এই মুহুর্তে একসঙ্গে লড়াই-এর ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। “লুঠের টাকায় ভোট, লুঠছে সব নোট। আমরা টাকা দিচ্ছি আর উনি ছবি বিলিয়ে বেড়াচ্ছেন” সভা মঞ্চ থেকে এভাবেই তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রথ প্রসঙ্গে বিজেপিকে বিদ্ধ করতে ছাড়েননি মমতা “আমরা পুরীর রথ শুনেছি। বিজেপির ফাইভ স্টার রথ শুনিনি, অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, দেশ জুরে বিজেপিকে শূন্য দিন”। সভার শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্লোগান দিয়ে বলেন, ” এই মঞ্চ থেকে এক সময় ইন্দিরা গান্ধী মুজিবর রহমনকে নিয়ে স্বাধীন বাংলার সভা করেছিলেন, এই মঞ্চের জন্যই বদলে গেছে বাংলার সিপিএম সরকার, এবার বদল দো, দিল্লি কা সরকার বদল দো “
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.
Recent News
- প্রথম দফাই অ-শান্তিপূর্ণ! একাধিক জায়গা জুড়ে চলল উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণ
- LokSabha Election 2024 : সমাজ মাধ্যমেও চলছে যুদ্ধ। এ দিলে সেও দেয়, পোষ্টার
- বন্ধুত্ব, প্রেম পার্বণ পার করে রাতুলের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে সিঙ্গল মাদার রূপাঞ্জনা মিত্র
- Loksabha Election 2024 : প্রথম দফার ভোটে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ, যোগীরাজ্যে বুথ দখলের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
- Loksabha Election 2024 : উত্তপ্ত মণিপুর, ভোটকেন্দ্রের বাইরে চলল গুলি