Date : 2024-04-18

তমলুক স্টেশনকে মডেল স্টেশন বানাতে চায় দক্ষিণ-পূর্ব রেল…

পূর্ব মেদিনীপুর: সকালে হঠাৎ মর্নিংওয়ার্কে এসে চমকে উঠলেন মেদিনীপুরবাসী। রোজ প্রাতঃভ্রমণে যারা স্টেশনে আসেন, আজ তাদের কাছে একেবারে অন্যরকম চিত্র। কেউ আপনমনে সেলফি তুলছে তো কেউ বা আবার গোটা স্টেশনের ভিডিও নিজের ক্যামেরাবন্দি করে রাখছেন। কিন্তু হঠাৎ এমন ছবি তোলার ধুম পড়ল কেন? আসলে একমাস আগে থেকে তমলুক স্টেশনের ভোলবদল শুরু হয়। এখন তা সম্পূর্ণ হয়েছে। সুন্দপভাবে সাজানো হয় স্টেশন ও সংলগ্ন চত্বর। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে দুটি রেল স্টেশন। একটি শহীদ মাতঙ্গিনী হল্ট স্টেশন আর একটি তমলুক স্টেশন। মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন কিছু কাজ হয়েছিল তমলুক স্টেশনের। তারপর দীর্ঘ প্রায় এক দশকের বেশি সময় তমলুক স্টেশনের উন্নতিতে কোনও কাজ দেখা যায়নি। কিন্তু গত এক মাসে সেই চেহারা একেবারে পাল্টে গেছে। ধীরে ধীরে তমলুক স্টেশনের ভোল বদলানো শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে তমলুক স্টেশনের সামনে বাগান সাজানোর দায়িত্বে থাকা এক কর্মী জানান, স্টেশনের এত সুন্দর রূপ দেখে কেউই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না। ওই কর্মী তমলুক এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তমলুক স্টেশন সাজানোর বিষয়ে নিজেও গর্ববোধ করেছেন। তিনি জানান, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে যারা রোজ তমলুক স্টেশনে শরীর চর্চা করেন, এখন থেকে তারাও এই সুন্দর সাজানো তমলুক স্টেশনে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবে। তমলুক স্টেশনকে এক রকম মডেল স্টেশনের রূপ দিতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। আর তাই, এদিন তমলুক স্টেশনে সকাল সকাল গিয়ে দেখা যায় অনেকেই মোবাইল নিয়ে সুন্দর ছবি আঁকা সিঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত তো আবার কেউ অবাক হয়ে দেখছে স্টেশনের সৌন্দর্য। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার নিজের মোবাইলে তমলুক স্টেশনের নতুন রূপকে ধরে রাখছেন। তাই এদিন ট্রেন আসতে দেরি হলেও মন খারাপ করার মতো মানুষের সংখ্যা আজ বেশ কম।