ওয়েব ডেস্ক: ফের অজানা মহাজাগতিক সংকেত পেল বিজ্ঞানীরা। তবে সেটির উৎস কি তা এখনো জানতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ১৩টি দ্রুত গতির বিস্ফোরণের মতো বেতার শব্দ রয়েছে, যেটি বারবার ঘুরে ঘুরে আসছে। যেটিকে এফআরবি বলে বিজ্ঞানীরা বর্ণনা করছেন। এই শব্দটি প্রায় দেড় হাজার আলোকবর্ষ দূরের কোন উৎস থেকে আসছে। এই ধরনের ঘটনা অতীতে যে ঘটেনি তা নয়। তবে এই ধরনের ঘটনা এর আগে একবার ঘটেছিল। যদিওবা তার বৈশিষ্ট্য কিছুটা অন্যরকম ছিল। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইনগ্রিড স্টেয়ারর্স বলছেন, ”এটা জানার পর আরো একবার এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, মহাবিশ্বের অন্য কোথাও কিছু রয়েছে।” এই সংকেত পাওয়ার পরেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এর সৃষ্টি সন্ধান করতে শুরু করেছেন মার্কিন বি়জ্ঞানীরা। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ওকানাগান উপত্যকায় চারটি একশো মিটার লম্বা অ্যান্টেনা নিয়ে শাইমি গবেষণাগারটি অবস্থিত, যেখানে এই সংকেত ধরা পড়েছে। এই গবেষণাগার থেকে প্রতিদিন মহাকাশে অনুসন্ধান চালানো হয়। গত বছর এই টেলিস্কোপটি কাজ শুরু করার পর মহাবিশ্বের ১৩টি মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছে, যার মধ্যে একটি কয়েকবার ফিরে এসেছে।
আর তাতেই ভিন গ্রহে প্রাণের সন্ধানের তত্ত্ব উঠে আসছে। ওই সংকেত অনেকটাই ধারনা দিয়েছে আমাদের সৌরমন্ডলের বাইরে অন্যকিছুর অস্তিত্বের। এফআরবির মতে এই বেতার তরঙ্গ সংক্ষিপ্ত কিন্তু তীক্ষ্ন, যা হয়তো মহাবিশ্বের আরেক প্রান্ত থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছচ্ছে। এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এরকম ৬০টি একক, দ্রুত গতির বিস্ফোরণের বেতার তরঙ্গ সনাক্ত করতে পেরেছেন। যার মধ্যে দুটির পুনরাবৃত্তি বেশ কয়েকবার হয়েছে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, প্রতিদিন আকাশে এরকম সহস্রাধিক বেতার তরঙ্গ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বকে নস্যাৎ করে দিয়ে বলেছেন,কি কারণে এরকম বেতার তরঙ্গ তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে অনেক মতবাদ চালু আছে। তাই এটা ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের যথেষ্ট প্রমাণ নয়। অনেকেই মনে করেন শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র নিয়ে কোন নিউট্রন তারকার খুব দ্রুত ঘুরে যাওয়া, দুইটি নিউট্রন তারকার একত্রে মিশে যাওয়ার ফলে এই ঘটনা ঘটছে। তবে অল্প কিছু পর্যবেক্ষকের মতে, ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব আছে। এই সংকেত সেই মহাকাশযান থেকে আসছে। এই সংকেত মাত্র কয়েকবার গ্রহণ হওয়ার পর আর কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।