ওয়েব ডেস্ক: শীত পড়তে না পড়তেই বাঙালির মন খেজুর গাছে হাড়ি বাঁধে। অপেক্ষা করে কতদিনে মিষ্টি খেজুরের রস কাঠের উননে জাল দিয়ে সুস্বাদু নলেন গুড় মুখে তুলতে পারবে। নতুন ধানের খইয়ের সাথে নলেন গুড় মিশিয়ে কবে জয়নগরের মোয়া নিয়ে হাজির হবে মিষ্টির দোকানগুলো। নলেন গুড়ের মিষ্টি ও পায়েসের স্বাদ নিতে সারা বছর এই নলেন গুড়ের অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি। বর্ষশেষে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বাঙালির হাতে গুড় দিয়ে তৈরি মিষ্টি, পিঠে ,পায়েসের বিশ্ব জোড়াখ্যাতি আছে। আমাদের দেশে খেজুর রস ,ছাড়াও তালের রস,আখের রস থেকে তৈরী হয় গুড়। গুড় মিষ্টি তাই সুগারের ভয়ে অনেকেই গুড় থেকে বাধ্য হয়ে দূরে থাকেন। তবে ডাক্তার গবেষকরা কিন্তু গুড় সম্পর্কে অন্য কথা বলে থাকেন। আপাত দৃষ্টিতে গুড় শুধু রসনার তৃপ্ত সম্পদ। কিন্তু গবেষকরা জানিয়েছেন গুড়ে উপকারও অনেক। অনেকেই ভাবেন গুড়ের আর কি বা উপকারিতা হতে পারে। জানতে চান-
১. রোজ শেষপাতে যদি একটু করে গুড় খেতে পারেন তবে খাবার হজম হতে সাহায্য হবে। কারণ খাদ্য হজমকারী এনজাইম ক্ষরণে সাহায্য করে গুড়।
২. শরীরে আয়রণের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। নলেন গুড়ে প্রচুর পরিমানে আয়রণ থাকে। প্রতিদিন অল্প পরিমানে গুড় খেলে শরীরে আয়রণের অভাব পূরণ হয়। এতে অ্যানিমিয়ার প্রবনতা কমে যায়।
৩. প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের সমস্যা প্রায় সমস্ত মহিলারা ভোগেন। প্রতিদিন গুড় খেলে শরীরে হরমোনের সমতা বজায় থাকে। এছাড়া গুড় আমাদের শরীরে হ্যাপি হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায়। ফলে গুড় পিএমএস-এর হাত থেকে রক্ষা করে।
৪.কার্বোহাইডেড রক্তে শর্করার পরিমান বাড়িয়ে দেয়। সরাসরি চিনি খেলে শরীরে শর্করা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ফলে উচ্চরক্ত চাপজনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। গুড়ের খেলে রক্তে শর্করা ধীর গতিতে বৃদ্ধিপায়। ফলে তা অবশ্যই চিনির থেকে বেশি স্বাস্থ্যকর।
৫. গুড় গরম খাওয়ার। এছাড়া গুড় আমাদের শরীরকে গরম রাখে শীতকালে বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সংক্রামণের থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই শীতকালে প্রতিদিন গুড় খেলে সর্দি কাশি হওয়ার প্রবনতা কমে। এস্থেমা রুগীদের জন্য গুড় বিশেষ উপকারী। তাই একান্ত যারা ডাইবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা ছাড় বাকি সবাই গুড় খেতে পারেন। বিশেষ করে শীতকালে নতুন গুড়ের স্বাদ না পেলে মন ভরে না কারোরই। তাই গুড় খান নিশ্চিন্তে রসিয়ে।
|