ওয়েব ডেস্ক: সীমান্ত লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে ভারত, তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরবে পাকিস্তান। অর্গানাইজেন অব ইসলামিক কোঅপারেশন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং মিত্র দেশগুলির কাছে অভিযোগ জানাতে তৎপর ইমরানের সরকার। ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৩.৪৫ মিনিট, নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দেয় একের পর এক জঙ্গিশিবির। মাত্র ২১ মিনিটের অপারেশনে নিকেশ প্রায় ৩০০ জঙ্গি। এরপরই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে ইমরান সরকার। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এই বৈঠকে ইমরান খানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজোয়া, বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্তা-সহ একাধিক আমলা। মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে হামলার দায় স্বীকার না করেও শান্তির আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান খান। এদিকে পাক নেতা থেকে সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সতর্ক করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ বলেছিলেন ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক এখন বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আমরা যদি একটি পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করি তাহলে পাল্টা ২০টি বোমা মেরে আমাদের শেষ করে দেবে ভারত। তাই একমাত্র উপায় হল ভারতে কমপক্ষে ৫০টি পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করা যাতে ওরা ২০টি বোমা মারতে না পারে। তাহলেই একমাত্র ভারতকে কাবু করা সম্ভব। আমরা কি ওই ৫০টি বোমা নিক্ষেপ করার জন্য তৈরি?’ মুশারফের এই হুঁশিয়ারীর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জোর ধাক্কা খেল পাকিস্তান। মঙ্গলবার ভোর রাতে ভারতীয় বায়ুসেনার হিন্ডন এয়ারবেস থেকে আকাশে ওড়ে ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। ভোর সওয়া তিনটে নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৩টি জায়গায় প্রায় ১০০০ কেজি বোমা ফেলে তারা। ধূর্লিসাৎ করে দেওয়া হয় বালাকোট, মুজফ্ফরাবাদ ও চকৌটিতে জঙ্গিশিবিরগুলি। ঘটনার পর দেশের নাগরিকদের যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.