ওয়েব ডেস্ক: হিন্দু পুরাণ ও শাস্ত্র অনুসারে গনেশ হলেন প্রথম পুজ্য দেবতা। পৃথিবীর দক্ষিণায়নের শুরুতে হয় ঝুলন উৎসব, তারপর আসে গনেশ পুজো, আবার উত্তরায়ণের শুরুতে হয় গনেশ পুজো তারপর সরস্বতী পুজা ও দোলযাত্রা উৎসব। সর্ব প্রথম পুজো পান গনেশ, কিন্তু গনেশের উৎপত্তি সম্পর্কে অনেক পৌরাণিক কাহিনী আছে। শিব পুরাণে কথিত আছে, পার্বতী নিজের উবটন দিয়ে এক বালকের মুর্তি গড়েন। এবং তাঁর সৃষ্ট মুর্তির প্রতি প্রবল মাতৃত্ব বোধ জেগে ওঠে দেবী পার্বতীর। পুত্র রূপে তাকে প্রাণ দান করেন পার্বতী। পুত্রের নাম রাখেন বিনায়ক। অর্থাৎ তিনি বুদ্ধি ও শক্তির দেবতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরম বিনয়ী ও সততার প্রতীক হন। কিন্তু মাতৃ আজ্ঞা পালন করতে গিয়ে বিনায়ক স্বয়ং মহাদেবের কাছে নিজের বিনয় সীমা লঙ্ঘন করেন। এই অপরাধে মহেশ্বর তাঁর শিরোচ্ছেদ করেন। পার্বতীর ক্রোধ ও দুঃখের কাছে নতি স্বীকার করে অপরাধের দন্ড দিয়েও তিনি শাস্তি ফিরিয়ে নেন গনেশের। ক্রুদ্ধ পার্বতীকে শান্ত করতে অবশেষে পুত্র গণেশের শিরে হাতির মাথা বসিয়ে পুনঃরায় তাকে জীবন ফিরিয়ে দেন। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশের জন্ম হয়। তাই শাস্ত্রে ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনই সারা দেশে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। কিন্তু মহাদেবের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে জন্মের কিছুদিন পরেই বিনায়কের মৃত্যু হয়। তাই বসন্ত পঞ্চমীর আগে যে শুক্ল চতুর্থী তিথি আসে সেই তিথিতে গনেশের পুনরাবির্ভাব তিথি বলে। জ্যোতিষশাস্ত্রে চতুর্থীকে রিক্তা তিথি বলা হয়েছে, সে দিন কোনও শুভ কাজ হয় না। কিন্তু সে দিনই গণেশের জন্মদিন হওয়ায় চতুর্থীতে রিক্তা তিথির দোষ গ্রাহ্য করা হয় না। তাই সমস্ত শুভ কাজ করা যায়। গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্নে বৃশ্চিক রাশি রয়েছে এবং মঙ্গল বিরাজ করছে। তাই তিনি মঙ্গল মুর্তি। তাই তিনি প্রথম পুজ্য। গনেশ পুজো দিয়ে যে কোন পুজো শুরু করা হয় সিদ্ধি লাভের জন্য। তবে বসন্ত পঞ্চমী তিথির থেকেও ভাদ্র মাসের চতুর্থীতে গনেশ পুজোর প্রচলন বেশি। মহারাষ্ট্রের সর্বত্র ১০ দিন ব্যপী এই উৎসব পালন করা হয়। মোদক গনেশের সবচেয়ে প্রিয় ব্যঞ্জন। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতে মোদক, লাড্ডু, ভ্রুন্দ্রাল্লু পানাকাম (গোল মরিচ এলাচ দিয়ে তৈরি পানীয়), ভাদাপাপ্পু (মুগডাল ভিজিয়ে তৈরি) এবং চালিভিড়ি নৈবেদ্য ও মিষ্টি হিসেবে দেওয়া হয় গণেশকে। মোদককে গোয়াতে ডাকা হয় নারভি নামে। যে কোন পুজো শুরুর আগে গনেশের পুজো করে নিলে বিঘ্ন ও বিপদ কেটে সিদ্ধি লাভ নিশ্চত। তাই গনেশের অপর নাম বিঘ্ননাশক, সিদ্ধি বিনায়ক।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.
Recent News
- বৃষ্টি জারি বঙ্গে, সোমবার থেকে ঊর্ধমুখী তাপমাত্রা
- হাসপাতালের বিল বারছে, আর্থিক অবস্থা দুর্বল। অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাড়ালেন অভিনেতা ভাস্বর।
- পথপশুদের জন্য ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য শিবির। আয়োজন স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা।
- বেআইনি নির্মাণ খালি করতে গরিমসি, নারকেলডাঙা থানার ওসিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ
- এসএসসি, সিবিআই ও বিতর্কিত চাকরিপ্রার্থী, আদালত কার কথা বিশ্বাস করবে? প্রশ্ন ডিভিশন বেঞ্চের।