Date : 2024-03-29

ভারতীয় জওয়ানদের সহযোগিতায় বেঁচে আছে সীমান্তের এই গ্রাম

কোচবিহার: উপত্যকায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। দেশ জুড়ে উদ্ভুত উত্তেজনার পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারও সীমান্তবর্তী অঞ্চল। কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে দূরবর্তী জেলা হওয়া সত্ত্বেও এর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সীমান্তবর্তী গ্রাম। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা, মাথাভাঙা, শীতলকুচি, তুফানগঞ্জের একাংশ এবং বক্সীরহাট বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামের মধ্যে পড়ে। আর সীমান্তবর্তী গ্রাম মানেই সেখানে থাবা বসায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ।

সেই গ্রামগুলিকেই চোরাকারবারিদের হাত থেকে রক্ষা করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। যার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামগুলিতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন মানুষ। যদিও স্বাভাবিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অনেকটাই বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তবুও জওয়ানদের সহযোগিতায় অনেকটাই সমস্যা মিটে যায় তাদের। এলাকাবাসীদের মতামত,বিএসএফ জওয়ানরা গ্রামের মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তারা নিশ্চিন্তে আছেন। কৃষিকাজ, বানিজ্য এমনকি স্কুল কলেজের জন্যও গ্রামের মানুষকে নির্ভর করতে হয় ভারতের উপর। যেমন কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেগুলি বাংলাদেশের কাঁটাতারের একদম কাছাকাছি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশি।

জিরো পয়েন্টে থাকা এই গ্রামগুলির মানুষের নিত্যদিনের জীবনযাপন প্রায় অসাধ্য হয়ে উঠত জওয়ানদের সহযোগিতা না থাকলে। এছাড়াও কোচবিহার মেখলীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত সেখানেও কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সহকারে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ জওয়ানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, শুধু কৃষি ক্ষেত্রে নয় যাদের জমি রয়েছে কাঁটাতারের ভেতরে তাদেরকে সবরকম যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থা করে দেন ভারতীয় জওয়ানরা। এভাবে সাহায্য না করলে হয়তো সীমান্তবর্তী মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠত। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন গড়ে ওঠে সীমান্তরক্ষীদের সাথে।