ওয়েব ডেস্ক: “মিছে কলরব মিটে গেল সব, মিলল অগাধ স্বস্তি / মা এসে বলে ভাগ্যে পাশেই ছিল এ অবোধ বস্তি”( শঙ্খ ঘোষ )। কিন্তু কবি লিখলেও বাস্তব জীবনে ক’জনই বা এমনটা ভাবেন।
তাই তো শহরের কোনে গড়ে ওঠে এক একটা বস্তি। যেন পৃথিবীর মধ্যে আরও একটা পৃথিবী। নোংরা বস্তির মানুষগুলিকেও নোংরা বলেই ভেবে নেয় সমাজ। এই বিভেদ মুছতেই উদ্যোগী হয়েছেন এক মহিলা।
অট্টালিকা আর বস্তিবাসীর বিভেদ ঘুচিয়ে দিতে প্রাণপনে লড়াই করে যাচ্ছেন মুম্বইয়ের রাবল নাগি। সামনেই হোলি। দেশজুড়ে রঙের উৎসবে মেতে উঠবে দেশবাসী। তার আগে সাম্যের বার্তা দিতে রাবাল নাগি রাঙিয়ে দিচ্ছেন পুনের বস্তিগুলিকে।
পুণের যে নোংরা বসতিগুলির দিকে ফিরেও তাকাত না কেউ, সেই বস্তিই এখন শহরবাসীর সেন্টার অফ অ্যাটরাকশন। শুধু পুণের বাসিন্দারাই নন, অন্য জায়গা থেকে দিন দুয়েকের জন্য পুণে এলে অনেকেই এক ঝলক দেখে নিচ্ছেন।
বর্তমানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান রাবল । তাঁর আর্ট ফাউন্ডেশন এর এনজিওটি ‘মিসাল মুম্বই’ নামের একটি প্রকল্প শুরু করেছে। যার প্রধান উদ্দেশ্য শহরের বস্তিগুলিকে রঙিন করা।
নাগির মতে, তাঁর এই উদ্যোগ কিছুটা হলেও বিভেদ কমাবে মানুষের। একটু হলেও গুরুত্ব বাড়বে বস্তিবাসীদের।
রাবল নাগির কথায়, “শিল্পের মাধ্যমে আমি মানুষে মানুষে যোগাযোগ সাধন করতে চাই, আমার মূল উদ্দেশ্য মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা।”
সবমিলিয়ে ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে রাবেলের এই কীর্তি। এই রঙিন স্নিগ্ধ ছবি দেখে রাবেলের প্রশংসায় কার্পন্য করেনি কেউ।
