নদিয়া: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর মাস ঘুরেছে, খুনের স্মৃতি টাটকা হয়ে আছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। রানাঘাট আসন থেকে নিহত বিধায়কের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাসকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাকে রাজনীতিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন অনেক আগেই। কিন্তু সরাসরি লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার কথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি। এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রূপালী দেবীর বর্তমান বয়স ২৪ বছর, ২৫ বছর হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে তার বয়স ২৫ বছর হয়ে যাবে। এদিকে একরত্তি ছেলেকে নিয়ে স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে চলেছেন বিধায়কের স্ত্রী। তবে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
এদিন রূপালীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন দলের কর্মী সমর্থকরা। শুরু হয় প্রথম দেওয়াল লিখনের কাজ। বেতাইয়ের আম্বেদকর কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ২০১৬ সালে বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। নদিয়ার প্রধান মতুয়া-মুখ সত্যজিতের স্ত্রীকে দিয়েই যে মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপিকে চাপে ফেলা যেতে পারে, এটা বুঝে নিতে শীর্ষ নেতাদের দেরি হয়নি। রূপালী অবশ্য এদিন দাবি করেন, “আমাকে দলের তরফে আগে থেকে কেউ কিছু বলেননি। আমি বেলা ৩টের পরে টিভি খুলে জানতে পেরেছি!” তবে প্রার্থী হওয়ার পরেও তার মধ্যে কোন রকম উচ্ছাস ছিল না। স্বামীর বিয়োগের একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে নিচু গলায় রুপালী দেবী জবাব দেন “কঠিন পরীক্ষা। দল যে ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে, সে ভাবেই এগোব।’’