বীরভূম: রূপোলী পর্দা থেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে কেটেছে দশ বছর। কলকাতার থেকে বীরভূমেই বেশি থাকেন তিনি। বৃহস্পতিবার তারা মায়ের পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন শতাব্দী রায়।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘ আগের ভোটও তারাপীঠে পুজে দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। মায়ের ইচ্ছায় এ বারও বীরভূমে প্রার্থী হয়েছি। পুজো দিয়ে শুরু করব প্রচার।’’
বিপুল ভোটে জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী শতাব্দী রায় এদিন বলেন, ”অনেকেই ভেবেছিল গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে এসেছি তাই বীরভূমের রোদে, গরমে রাস্তায় নেমে কাজ করতে পারব না।
ভোট নিয়ে পালাব। সেটা ভুল প্রমাণ হয়েছে এই দশ বছরে।” তিনি বলেন, “বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামেগুলিতে বহুবার গেয়েছি।
সাংসদ হিসাবে পুরো টাকা খরচ করেছি। অনেকে পরামর্শ দিতেন, বড় প্রজেক্ট করতে। কিন্তু আমি সেটা করিনি।
গ্রামের মানুষের প্রয়োজনে ছোট ছোট প্রচুর কাজ করায় বেশি উৎসাহ পেতাম। বীরভূমে বিরোধীরাও বলতে বাধ্য, শতাব্দী রায় মাঠে নেমে কাজ করে।’
“কংগ্রেস ও সিপিএম জোটকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “কংগ্রেস-সিপিএম আগেও জোট করেছিল তাতে কি হয়েছে? জোট প্রসঙ্গে দলের উচ্চস্তরে মতবিরোধ আছে, ফলে নিচুতলার কর্মীদের কাছে ধন্দে পড়েছেন।”
নিজের কাজের খতিয়ান দেখিয়েই বীরভূম কেন্দ্রে তিনি জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন বলে আশাবাদী শতাব্দী রায়।
তিনি এদিন বলেন, “গত দশ বছরে এখানে যা কাজ আর বিজেপির অ-কাজ মানুষ দেখেছেন।’’
তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের কাজও করে নেন শতাব্দী। এদিন রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকে ৯ টি অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
অনুব্রত মন্ডল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এলাকায় দক্ষ সংগঠক তিনি । শতাব্দী রায়ের হয়ে প্রচারকার্যে থাকবেন অনুব্রত মন্ডল। ”