ওয়েব ডেস্ক: মিছিল মিটিং সংক্রান্ত বিষয়ে এবার রাজনৈতিকদলগুলিকে আর পুলিশ প্রশাসনের উপর নির্ভর করতে হবে না। এই বিষয়ে এবার হস্তক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কোনো জায়গায় কোনো রাজনৈতিক দলের মিটিং বা মিছিলের অনুমতি বাতিল হলে জেলা প্রশাসনকে নির্দিষ্ট কারণ দর্শাতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। জেলা পুলিশ যদি অনিবার্য কারণ ছাড়া মিটিং মিছিলের অনুমতি না দেয় তবে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। এই রাজ্যে মিটিং মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয় না এমন অভিযোগ একাধিকবার এসেছে বিরোধীদের তরফে। এর আগে মুর্শিদাবাদে সভা করার কথা ছিল বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হোসেনের। সেই সভার অনুমতি দেয়নি মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। সভার অনুমতি না পেয়ে লালবাগের হোটেলে সভা করেন শাহনওয়াজ হোসেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা ও অমিত শাহের সভা নিয়ে বহু টালবাহানার পর অনুমতি মিললেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। শুধুমাত্র বিজেপি নয় বাম-কংগ্রেসের তরফেও একাধিকবার এই অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়গুলি এড়ানোর জন্যই বিশেষ ধরনের একটি অ্যাপ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন।
অ্যাপের নাম ‘সুবিধা’। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু থাকার সময় এ রাজ্য তো বটেই দেশের যে কোন প্রান্তে কোন রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক দলকে সভা-সমিতি কিংবা মিছিল করতে হলে আবেদন করতে হবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। সেই আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে জমির মালিকের অনুমতি পত্র সহ অন্যান্য নথি। যদি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিকদলকে অনুমতি দেওয়া না হয় তবে তার কারণ দর্শাতে হবে। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ এবং লালবাজারের সংশ্লিষ্ট অফিসাররা এই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এই অ্যাপের বিষয়ে খুঁটিনাটি জানতে বৈঠক করেন। “সুবিধা”য় আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট দল এই অ্যাপেই জেনে যাবে আবেদন সংক্রান্ত সমস্ত আপডেট। অনুমতি দেওয়া হলে বা না দেওয়া হলে সেটিও জানা যাবে এই অ্যাপেই। যদি উপযুক্ত কারণ ছাড়া আবেদন নাকচ করা হয় তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আধিকারিককে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।