Date : 2024-03-29

চন্দনযাত্রা উপলক্ষ্যে অসংখ্য ভক্ত- সমাগম মায়াপুর ইসকনে…

নদিয়া: মঙ্গলবার অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষ্যে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে শুরু হল রাধামাধবের চন্দন যাত্রা উৎসব। প্রাচীন রীতি অনুসারে তীব্র দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাধামাধবের শরীরে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়। প্রায় লক্ষাধিক টাকার চন্দন কাঠ ব্যাবহার করা হয় রাধামাধব মুর্তিতে প্রলেপ দেওয়ার জন্য।

মহিশুর থেকে আসে এই চন্দন কাঠ। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত একুশদিন ব্যাপী এই উৎসব চলবে। শ্রী শ্রী রাধামাধবের চন্দন যাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে মায়াপুরে ইসকন মন্দিরে পুষ্করিণীকে বিভিন্ন ফুলে আলোরমালায় সাজিয়ে তোলা হয়।

চন্দনযাত্রা উপলক্ষ্যে দেশী-বিদেশী বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে। চন্দন যাত্রা উৎসব উপলক্ষে শ্রী শ্রী রাধামাধব কে শ্রী চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে এক বর্ণাঢ্য সংকীর্তন ও শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে আসা হয় সমাধি মন্দির লাগোয়া পুষ্করিণীতে।

সেখানে সুসজ্জিত নৌকায় রাধামাধবের নৌকা বিহারের আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য নামসংকীর্তন, সঙ্গীতের সঙ্গে চলে নৌকা বিহার। কথিত আছে, আজ থেকে প্রায় পাঁচশত বছর আগে পুরীর নরেন্দ্র সরোবর শ্রী শ্রী রাধা মদনমোহন কে তার শরীরে চন্দন লেপন করে নৌকা বিহার করেছিলেন সেখানকার পণ্ডিতেরা। এও জানা যায়, স্বয়ং নদিয়া নাগর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রভূত আনন্দ লাভ করেছিলেন।

সেই থেকে হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের মধ্যে এই রীতি পালিত হয়ে আসছে। বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া কে শুভ অক্ষয় তৃতীয়া বলা হয়। বাংলা তথা বাঙালির কাছে এদিনটি বিশেষ ভাবে মহত্বপূর্ণ। এই দিন থেকেই শুরু হয় চন্দনযাত্রা। তীব্র গরমে ভক্তের সেবা নিয়ে আনন্দ লাভ করেন ভগবান।

সাতদিন ধরে রাধামাধবের নৌকাবিহার চলবে চন্দনযাত্রা উপলক্ষ্যে। মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, এদিন কয়েকহাজার ভক্তদের মধ্যে রাধামাধবের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।