Date : 2024-04-25

‘নিজে কী তামাক সেবন করেন? তাহলে বিজ্ঞাপন কেন?’, প্রশ্নের সম্মুখীন অজয়

ওয়েব ডেস্ক: সিনেমা নিয়ে মানুষের ভরপুর আনন্দ ও উত্তেজনা নতুন নয়। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো থেকে শুরু করে, প্রিয় অভিনেতাকে দেখে হলে সিটি বাজানো। এইগুলো সবটাই ভক্তদের তাদের প্রিয় অভিনেতাদের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর একটা অঙ্গ। তাই সেই প্রিয় অভিনেতাদের নকল করাটাও থাকে না বাতিলের খাতায়। যেমন শাহরুখ খানের ভক্তরা তাঁর মতো চুলের স্টাইল করে, তাঁর হাত বাড়িয়ে ডি.ডি.এল.জে-এর ডায়লগ বলার চেষ্টা করে। অথবা সলমনের ফ্যানেরা তাঁর মতো একইরকম ব্রেসলেট পরে ঘুরে বেড়ান। মানুষেরা তাঁদের ভালোবেসেই অনুকরণ করেন। কিন্তু সেই অনুকরণই যদি হয়ে দাঁড়ায় মৃত্যুর কারণ, তাহলে?

ঠিক এমনই এক ঘটনার সম্মুখীন হলেন এবার অভিনেতা অজয় দেবগণ। রাজস্থানের ৪০ বছর বয়সী নানাক্রম, অজয় দেবগণের ভক্ত। তাই তাঁর তামাকজাত দ্রব্য সেবনের বিজ্ঞাপনটি দেখে তা ব্যবহার শুরু করেন। কিন্তু সম্প্রতিই ক্যান্সার ধরা পড়েছে তাঁর এই তামাক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে। তাই নানাক্রম বুঝতে পারছেন যে প্রিয় অভিনেতারাও কিভাবে জীবনে মৃত্যুর হাতছানি হিসেবে আসতে পারে।

এর প্রতিবাদে এবং সচেতনতা বাড়াতে তাই সাঙ্গান, জগতপুর ও এই শহরের আরও নানা জায়গায় প্রায় ১০০০ টি পুস্তিকা ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি দিচ্ছেন নানাক্রম। এই পুস্তিকায় সেই ব্যক্তি অভিনেতা অজয় দেবগনকে জিজ্ঞেস করেছেন, তিনি বা তার পরিবার দিনে কতবার এই তামাক ব্যবহার করেন? এবং আরও বলেছেন যে মদ, সিগারেট এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করা ক্ষতিকারক।

নানাক্রমের পুত্র দিনেশ মিনা বলেন, তাঁর বাবা কয়েক বছর আগেই অজয় দেবগণের বিজ্ঞাপন দেখে সেই একই ব্র্যান্ডের তামাক ব্যবহার শুরু করেছিলেন। নানাক্রম অজয় দেবগনের অনুরাগী ছিলেন, কিন্তু যখন ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন তিনি বোঝেন যে, এই ধরনের বড় বড় তারকাদের কখনই এমন ক্ষতিকারক পণ্যের বিজ্ঞাপন করা উচিৎ নয়। দুই সন্তানের বাবা, নানাক্রম আগে একটি চায়ের দোকান চালাতেন।

এখন আর কথা বলতে পারেন না তিনি। জয়পুরের সাঙ্গানের শহরে বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেই পরিবারের পেট চালান। তবে অভিনেতাদের কাছে একটা প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়! তাঁরা এমন দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করেনই বা কেন, যখন তাঁরা নিজেরাও জানেন সেই দ্রব্য ব্যবহার করলে তা মানুষকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যু মুখে?