ওয়েব ডেস্ক: বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রায়শই সিনেমার নানা সিনে দেখা যায়, কেউ ২০তলার ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, আবার কেউ এক ঘুসিতে কুপোকাত করছেন শত্রুকে অথবা এক সুবিশাল ভাঙা পোড়ো বাড়িতে শুধুমাত্র অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় একা ঘুরে বেড়াচ্ছেন মধ্যরাতে।
তবে পর্দার নায়ক-নায়িকাদের চিত্ত যতই ভয়শূন্য হোক না কেন, বাস্তব জীবনে তাঁরা ঠিক ততোটাও সাহসী নন। তাঁদেরও বিশেষ কিছু ফোবিয়া আছে। কেউ ভয় পান আরশোলাকে, কেউ বা অন্ধকার ঘরে একা শুতে।
জেনে নেওয়া যাক বলিউডের তেমনই কয়েক জন সেলিব্রিটি এবং তাঁদের অদ্ভুত ফোবিয়ার কথা।
শাহরুখ খান
কিং খান সবচেয়ে বেশি নাকি ভয় পান ঘোড়াকে।
আলিয়া ভাট
অন্ধকারকে বেশ ভয় পান, তাই রাতে আলো জ্বেলে ঘুমোতেই নাকি পছন্দ করেন নায়িকা।
রনবীর কাপুর
বলিউডের হ্যান্ডসাম হাঙ্ক নাকি সবচেয়ে বেশি ভয় পান আরশোলা ও মাকড়শাকে। সেটে কোথাও এই এদের দেখলেই তিনি নাকি এক্কেবারে ‘কুপোকাত্’।
অনুষ্কা শর্মা
বাইক চড়তে নাকি অনুষ্কা সবথেকে বেশি ভয় পান।
অর্জুন কাপুর
ইনি সবচেয়ে বেশি নাকি ভয় পান সিলিং ফ্যানকে। তাঁর বাড়িতে তাই একটাও সিলিং ফ্যান নেই!
ক্যাটরিনা কাইফ
টম্যাটো নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ভোগেন এই নায়িকা। ‘জিন্দগি না মিলেগি দোবারা’-র সময় নাকি লা টোমাটিনা ফেস্টিভলে টম্যাটো নিয়ে শুটের সময়ও বেশ ভয়েই থাকতেন তিনি।
দীপিকা পাডুকোন
সাপ নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ভোগেন তিনি। কোনও দড়ি দেখলেও সাপ বলে ভুল করেন।
অজয় দেবগণ
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে একটু বেশিই খুঁতখুতে তিনি। তাই হাত দিয়ে খাবার খেতে সবচেয়ে বেশি ভয় পান। আর ভয় পান উচ্চতাকেও। ভার্টিগোর সমস্যা রয়েছে নাকি ‘সিংহম’ অভিনেতার।
অভিষেক বচ্চন
অভিষেক নাকি ফল খেতে ভয় পান। ছোটবেলা থেকেই একেবারেই খেতে চাইতেন না ফল।
বিদ্যা বালন
বিড়ালকে বেশ ভয় পান বিদ্যা। চারপাশে কোথাও বিড়ালের আওয়াজ পেলেই আতঙ্ক শুরু হয় এই অভিনেত্রীর।
সোনম কাপুর
বদ্ধ জায়গায় ভয় পান সোনম। তাই তিনি লিফ্টেও ওঠেন না। সিড়িই বেশি পছন্দ করেন।
আমির খান
মৃত্যু ভয় তাড়িয়ে বেড়ায় এই অভিনেতাকে। লগনের শুটিং-এর মাঝে ৫ মাসের বিরতি ছিল। তখন নাকি তিনি ভাবতেন যে এর মধ্যে যদি তিনি হঠাৎ মারা যান, তাহলে ছবির কি হবে।