ওয়েব ডেস্ক: মাথার উপর গনগনে রোদের উনুন জ্বলছে, ভোটের বাজারে খবরের কাগজ পুড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপে, ঘরে-বাইরে, বাসে-ট্রামে তর্কে-বিতর্কে বাঙালীর মেজাজ এখন জৈষ্ঠের তাপমাত্রার থেকেও কয়েক সেন্টিগ্রেড বেশি। তীব্র গরমের বাজারে গিয়ে অন্তত একটা ব্যাপারে খুশি আপামর বাঙালী। বাজারের থলিতে উঠেছে পাকা আম।
চৌসা থেকে ল্যাঙড়া, হিমসাগর থেকে গোলাপখাস। প্রিয় ফলটিকে আহ্লাদ করে ফলের রাজার আসন দেওয়া হয়েছে। রাজা যদি থাকে রাণী বিনা কি তার চলে? ফলের রাণীর নামটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত নয়। নূরজাহান, জন্ম তার আফগানিস্থানে। ভারতে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরের কাথিওয়ারায় পৌঁছে গেলে দেখা মিলবে নূরজাহানের।
ঝড়-বৃষ্টিতে এই আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শুষ্ক, উষ্ণ মরসুমে রং, রূপ, স্বাদ নিয়ে বেড়ে ওঠেন নূরজাহান। ল্যাঙড়া যদি আমের রাজা হয়, তবে নূরজাহান আমের রাণী। এই আম দৈর্ঘ্য এক ফুট পর্যন্ত হয়। রিষ্টপুষ্ট আমের আঁটির ওজন ২০০ গ্রাম। যেমন নাম, তেমন গুন আর কদরও তেমনি।
গাছে থাকাকালীনই বুকিং হয়ে যায় এই আম। প্রতিটি আমের দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু। ২ থেকে ২.৫ কেজি ওজনের একেকটি ফল পূর্ণতা পেতে প্রায় ৫ মাস মতো সময় লাগে। আম বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টিপাত স্বাভবিক থাকলে প্রতিটি আমের ওজন ৩.৫ কেজি পর্যন্ত হয়। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপানায় নূরজাহানের স্বাভাবিক ওজন এখন অনেকটাই কমেছে।
এই প্রজাতির আমগাছের রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত যত্নবান হতে হয়। কলম করার চেষ্টা করেও মধ্যপ্রদেশে আর কোথাও এই গাছের জন্ম হওয়া সম্ভব হয়নি। নূরজাহান তাই ভারতে বিরল প্রজাতির আম। সত্যিই তো রাণীর কদর করতে হয়।