কলকাতা: এনআরএসকাণ্ডে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়ালেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এনআরএস-এ গিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী তথা চিত্র পরিচালক অপর্না সেন বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, যতখানি দায় ডাক্তারদের ওপর চাপানো হচ্ছে রোগীর কষ্টের জন্য, ততখানি দায় রয়েছে প্রশাসনেরও। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন আপনি শুধু রোগীদের মুখ্যমন্ত্রী নন, ডাক্তারদেরও মুখ্যমন্ত্রী।
অভিনেত্রী তথা চিত্র পরিচালক অপর্না সেনের সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন কৌশিক সেন, দেবজ্যোতি মিশ্র, সাহিত্যিক বোলান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন। বুদ্ধিজীবীরা এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আবেদন করেন, “এটাকে প্রেস্টিজ ফাইট ভাববেন না।”
মুখ্যমন্ত্রী কাছে অপর্না সেন আবেদন করেন, “ডাক্তারদের জীবন বিপন্ন। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজনীয়তা আছে। আমার অনুরোধ, আপনি এসে একবার কথা বলুন। আপনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে পাঠালেন, কিন্তু উনি তো পূর্ণমন্ত্রী নন। আপনি নিজে এসে একবার কথা বলুন, হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। আপনি ওঁদের অভিভাবক, ওঁদের সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করুন। খুব ভালো ছাত্রছাত্রী না হলে, ডাক্তার হওয়া যায় না। ওরা যদি চলে যায়, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে ভালো হবে?”
তিনি আরও বলেন, “আমি জানি রোগীরা বাইরে দাঁড়িয়ে যেভাবে অপেক্ষা করছেন তাতে ওঁদের কষ্টের পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদেরও কষ্ট হচ্ছে। ওঁরা তো ডাক্তার। ওঁদেরও সুনিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। সেটা মুখ্যমন্ত্রীকেই ভাবতে হবে।”
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী এসএসএসকেএম গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে ‘এসমা’ জারি করার কথা বলেন। আন্দোলনরত ডাক্তারদের ৪ ঘন্টা সময় দেন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। যদিও বরফ গলেনি তাতেও। এই ঘটনার পর পাল্টা গনইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডাক্তাররা। সাগরদত্ত জেলারেল হাসপাতালে ১৮ জন ডাক্তার ইস্তফাপত্র জমা দেন সুপারের কাছে। ]
শুক্রবার ৮০ জন জুনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে। রাজ্যে ডাক্তারদের আন্দোলনের আঁচ ইতিমধ্যে পড়েছে ভিন রাজ্যে। এমনকি দেশ জুড়েও বিভিন্ন মেডিক্যাল সংগঠনগুলি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে।