Date : 2024-03-29

বেঙ্গালুরুর বিশ্বনাথ দম্পতি প্রতি বছর জমাচ্ছেন ১ লক্ষ লিটার জল …

ওয়েব ডেস্ক: একবিন্দু জলের জন্য পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ হাহাকার করে। মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি অধ্যুষিত দেশে একবিন্দু জলের জন্য হত্যে দিতে হয় মানুষকে। শুধু মরু অঞ্চলে নয় যে হারে পৃথিবীতে বন্য সম্পদ ও জলাভূমি ধ্বংস হয়ে চলেছে সভ্যতা ও প্রযুক্তির অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে তাতে আগামীদিনে পৃথিবীর বৃক্ষ ও জল শূন্য হতে চলেছে তা প্রায় নিশ্চিত।

এই সব কিছুর সঙ্গে আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এলার্ম, যা লাল সংকেত দিলেও ভ্রুক্ষেপ নেই মানুষের। সম্ভবত এই ঘটনাই ভাবিয়ে তুলেছিল বেঙ্গালুরুর বিশ্বনাথ দম্পতিকে। ৯০-এর দশকের শুরুর দিকে বেঙ্গালুরু শহরে বাড়ি করতে চেয়েছিলেন বিশ্বনাথ দম্পতি। বাড়িতে স্বচ্ছ পানীয় জলের পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে চেয়েছিলেন পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।

দেশের সিলিকন সিটিতে বসে তারাই হয়েতো উপলব্ধি করেছিলেন, এই পৃথিবীতে শুদ্ধ পানীয় জলের অভাব তৈরি হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। কিন্তু সেই জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা নেই মানুষের। একমাত্র বৃষ্টির জল যা সংরক্ষণের কারণে পানীয় জলের সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারে মানুষ, এই সত্যের উপলব্ধি করেছিলেন এই দম্পতি।

১৯৯০ সালে বন্যার মুখে পড়ার পর তারা ঠিক করে বৃষ্টির জলকে ধরে নিজের বাড়তে রাখার জন্য করেছিলেন অভিনব ব্যবস্থা। একই সঙ্গে পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এস বিশ্বনাথ এবং তাঁর স্ত্রী আর্কিটেক্ট চিত্রা ঠিক করেন পরিবেশের ন্যূনতম সম্পদ ব্যবহার করে তিনি সাজিয়ে তুলতে পারেন তাদের স্বপ্নের বাড়ির অন্দর মহল।

নিজের ঘরে তিনি সাদা রং করেছেন কিছুটা অংশে বাকি অংশে রেখেছেন হলুদ বং। সাদা রং ঘরে সুন্দর আবহাওয়া তৈরি করে মনে করেন বিশ্বনাথ দম্পতি। এর পরেই হলুদ রং করা হয়েছে দেওয়ালে সাদা থেকে হলুদ রঙের অংশে প্রবেশ করলেই আপনি অনুভব করবেন তাপমাত্রার পরিবর্তনের। এই বাড়ির ছাদ নির্মান হয়েছে কৃষিজাত দ্রব্যের বর্জ্য পদার্থ থেকে তৈরি বিশেষ ধরনের শিটের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

যার ফলে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাড়িতে রয়েছে সৌর বিদ্যুৎ-এর ব্যবস্থা। আর বৃষ্টির জল মাটির নিচে সংরক্ষণের মাধ্যমে হারভেস্টিং-এর বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে এ বাড়িতে। যার ফলে এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের পানীয় জলের চাহিদাও মিটেছে। শুধু তাই নয় এই বাড়িতে পরিবেশ বান্ধব টয়েলেটের ব্যবস্থা আছে যখানে জলের কোন প্রয়োজন হয়না। এইভাবেই এই বাড়িতে প্রতিবছর প্রায় ১লক্ষ লিটার প্রাকৃতিক জল সম্পদের সঞ্চয় করেন এই দম্পতি।