ওয়েব ডেস্ক: চাঁদে যে জমি বিক্রি হচ্ছে, সে খবর কী রাখেন? আপনি না রাখলেও এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা সেই খবর রাখেন, ও সেখানে জমিও কিনে রাখেন। অবাক হচ্ছেন নিশ্চই? তবে এটাই সত্যি।
২০০৩ সালে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে রাজীব ভি. বাগডি চাঁদে ৫ একর জমি কিনে রেখেছেন মাত্র ১০ ডলার অর্থাৎ যা ভারতীয় মুদ্রায় ৯,৫০০ টাকা। তিনি এখন খব খুশি।
তার কারণ কারণটা হল চন্দ্রায়ন-২। তিনি বিশ্বাস করেন বারতের এই যাত্রাই আনতে পারবে সারা জাতি ও তাঁর জন্য সুখবর। আপনি হয়তো ভাবছেন যে পৃথিবার মাটিতেই জমির এতো দাম আর চাঁদে তার দাম এতো কম? আসলে ১৬ বছর আগে কেনা বলেই এতো কমে জমিটি পেয়েছিলেন তিনি।
এমন কি জানেন মুন টুরিজম ও মারস টুরিজম বলেও একটি বস্তু আছে আমাদের পৃথিবীতে। যারা বিশ্বাস করে যে খুব তাড়াতাড়িই মানুষ যেতে শুরু করবে এই দুটি গ্রহতে। বাগড়ির মতে ২০৩০এ চাঁদে যাওয়া শুরু হয়ে যাবে। প্রথমে তিনি এই জমিটি নিজের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিনলেও, এখন চন্দ্রায়ন ২-এর কথা শোনার পরে তিনি নিজে তাঁর পরিবারকে নিজে একবার নিজের জমিতে দেখতে যেতে চান।
একটি আয়ুর্বেদিক দোকানের মালিক এই ভদ্রলোক। ছোটো থেকে ওনার চাঁদের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ আছে। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেখে লুনার রিপাবলিকের থেকেই এই জমি কেনেন রাজীব। এমন কি এর অফিসিয়াল কাগজ পত্রও আছে তাঁর কাছে। যেখানে পরিষ্কার করেই লেখা তাঁর চাঁদের আধিপত্যের কথা। এবং শুধু তাই নয়, এমনও লেখা যদি চাঁদ কোনোদিন বসবাসের যোগ্য হয় তাহলে তিনি যেটুকু জমির অধিকারী, তা পাবেন। সারা পৃথিবীতে প্রচুর অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখিন হওয়া যায়, তবে চাঁদে জমি কিনে রাখাটা একটু বাড়াবাড়িই বটে!