ওয়েব ডেস্ক: আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের ভিত্তিতে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের নিদান ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ ও ভারতের কূটনীতিকদের তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। এই রায়কে রীতিমতো স্বাগত জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি টুইট্যারে টুইট করে বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক আদালত বেকসুর খালাস ঘোষণা করেনি, ছেড়ে দিতে বা ভারতের হাতে তুলে দিতেও বলেনি কুলভূষণ যাদবেকে। এর প্রশংসা করছি।” তিনি বলেছেন কুলভূষণ যাদব পাক নাগরীকদের বিরোধী কাজ করেছে এবং পাকিস্তান আইন মেনেই এই মামলার বিচার করবে।
উল্লেখ্য গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী। ২০১৬ সালে কুলভূষণকে পাক সামরিক আদালতে দোষী সাব্যাস্ত করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই নৌসেনার প্রাক্তন এই অফিসারের মৃত্যুদণ্ডে রায়ের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আপিল করা হয় ভারতের তরফে।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিনা বিচারপতিও। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন কেবল পাকিস্তানি বিচারপতি তাসাদুক হুসেন জিলানি।২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলা-পরবর্তী উত্তপ্ত পরিবেশে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে সওয়াল করেন ভারত ও পাকিস্তানের কৌঁসুলিরা।
ভারতের কৌঁসুলি হরিশ সালভে জানান, ভিয়েনা সনদ লঙ্ঘন করে ভারতীয় কূটনীতিকদের কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পাকিস্তান। ভারতের পক্ষে কৌঁসুলি হরিশ সালভে জানান, ভারতীয় কুটনীতিকদের কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিকে দেশের নামী আইনজীবী লড়ছেন কুলভূষণ মামলা
পাশাপাশি পাক সামরিক আদালতের কার্যকলাপ নিয়েও আন্তর্জাতিক আদালতে প্রশ্ন তোলেন হরিশ সালভে। কুলভূষণের মুক্তির আর্জিও জানান তিনি। এরপরেই পাকিস্তানের পক্ষের আইনজীবী আন্তর্জাতিক আদালতে প্রশ্ন রাখেন, যাদব চরবৃত্তিতে অভিযুক্ত বলেই ভারতীয় কুটনীতিকদের তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: কুলভূষণ মামলা, আর্ন্তজাতিক বিচারালয়ে রায় দান আজ
আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের প্রেসিডেন্ট সোমালিয়ার বিচারপতি আব্দুলওয়াকি আহমেদ ইউসুফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে জানায়, ভারতের আর্জি গ্রহণযোগ্য। পাকিস্তান ভিয়েনা সনদ লঙ্ঘন করেছে। সুতরাং ভারতীয় কূটনীতিকদের কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। তাঁর আইনি প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থাও করতে হবে। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে।