ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে “বাংলা” করার প্রস্তাবে নারাজ কেন্দ্র। এদিন সংসদের অধিবেশন চলাকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সরাসরি একথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সংসদে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় জানান, রাজ্যের নাম “পশ্চিমবঙ্গ” থেকে বদলে “বাংলা” করতে গেলে সাংবিধানিক জটিলতার সৃষ্টি হবে। এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরেই ক্রুদ্ধ হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি দিল্লিতে ফোন করে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করার কথা জানান। এমনকি রাজ্যের কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েও বিষয়টি জানানো হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাজ্যের নাম বদলে “বাংলা” করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে পাশ হয়।
বাংলা, ইংরাজী ও হিন্দি এই ৩ ভাষায় ৩টি নাম বেছে যথাক্রমে- বঙ্গ, বেঙ্গল ও বঙ্গাল করার প্রস্তাব দেওয়া হয় কেন্দ্রকে। কিন্তু সেইবারেও রাজ্যের তরফে পাঠানো এই তিনটি নামের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় কেন্দ্র।
তখন অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল এমন একটি নাম বাছতে হবে যা তিনটি ভাষার ক্ষেত্রেই একই থাকবে। পৃথক ভাযার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নাম রাখলে সমস্যা তাই এই প্রস্তাব বাতিল করা হয়। এরপরেই বিধানসভায় সর্বদলীয় সম্মতিতে “বাংলা” নামটির প্রস্তব গৃহিত হয়।
কিন্তু এবারেও সাংবিধানিক জটিলতার কারণ দেখিয়ে রাজ্যের প্রস্তাব খারিজ করা হল কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ।
তাই “বাংলা” নাম দেওয়া ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। রাজ্যের তরফে এই যুক্তির বিরোধীতা কর জানানো হয়েছে, পঞ্জাব নামে পাকিস্তানে একটি প্রভিন্স থাকা সত্ত্বেও ভারতেও রাজ্যর নাম পঞ্জাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অযথা জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য এই নিয়ে ৩ বার রাজ্যের না প্রস্তাব খারিজ করল কেন্দ্র সরকার। রাজ্যের নাম প্রস্তাবের বিষয়টি সংসদে এর আগে উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এরপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই প্রস্তাব খারিজ করা হয়।