ওয়েব ডেস্ক: কাজ করেছেন ঋত্বিক ঘটকের মতো একজন কিংবদন্তীর সঙ্গে। “যুক্তি তক্ক আর গপ্প” ছবিতে হাতেখড়ি হয় সুব্রতবাবুর।
আটের দশকের বহু ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজও করেন তিনি। পরে চলে যান মুম্বাই।
সেখানে তার কাজের অভাব হয়নি। শশধর মুখোপাদ্যায়ের প্রোডাকশন হাউজেও বহুদিন কাজ করেছেন এই নিরাপত্তারক্ষী।
হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়ছেন। এই সুব্রতরঞ্জন দত্ত একটি বহুতল আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করেন তিনি।
কি করবেন, কাজ না থাকলে তো পরিবারের পেট চালানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা করতেই হবে। তাই অগত্যা এই হাজার ছয়েক টাকার চাকরি। তিনি নিজেও পরিচালনা করেছেন বেশ কয়েকটি ছবি। ‘প্রবাহিণী’ নামে চলচ্চিত্র যা ২০১৬ সালে ছবি মুক্তি পেয়েছিল নন্দনে।
এরপর শিশি-বোতল কুড়ানো মেয়েদের জীবন নিয়ে তাঁর ছবি ‘কলি’, যা এখনও মুক্তি পায়নি। আজ বাঁচার লড়াই এতোটাই কঠিন, যে তা পুরণ করতে গিয়ে একজন পরিচালককে হতে হয়েছে আবাসনের দারোয়ান। যদিও তাঁর কাছে কোনো কাজই ছোটো নয়। তবে এই ৬২ বছরের সুব্রতরঞ্জন দত্ত-কে টলিউডে অনেকেই চেনেন।
১২ ঘন্টার কাজ করে বাড়ি গিয়ে আর লেখার সময় কই। তবুও হাল ছাড়েননা তিনি। রোজ নিয়ম করে চিত্রনাট্যে খসড়া তৈরির চেষ্টা করেন। এমন কি কাজের আশায় সারারাত ডিউটির পরে ছোটেন স্টুডিওপাড়ায়। আবার ফিরে এসে রোজকার জীবনের লড়াইয়ে সামিল হন পলতার সুব্রতবাবু।
একজন চিত্র পরিচালক হয়ে তাঁর এই নিরাপত্তারক্ষীর পেশাকে মেনে নিতে পারেননা ইন্ডা্ট্রীর অনেকেই। তবুও কাজ কোথায়। এখনকার দিনে যারা ক্ষমতাশালী তারাই কেবল কাজ করে, আসল অভিজ্ঞ মানুষদের জায়গা হয় সেই কুঁড়েতেই। ইন্ডাস্ট্রীর দৈন দশা দেখে অবাক হওয়ারই কথা। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ সুব্রতরঞ্জন দত্ত। কারণ, “দ্য শো মাস্ট গো অন”।