Date : 2024-04-19

বিফ ও পর্ক ডেলিভারি না করার দাবীতে সোমবার থেকে ধর্মঘট হিন্দু ডেলিভারি বয়দের…

ওয়েব ডেস্ক: “খাদ্যের কোনো ধর্ম নেই, খাদ্যই ধর্ম”, এই প্রেক্ষাপটেই প্রথমদিন থেকে চলছিল জোম্যাটো।

তবেই তাঁদের এই উক্তিই যে তাদের দাঁড় করাবে এমন এক সমস্যার মুখোমুখি, তা হয়তো ভাবতে পারেননি জোম্যাটোর কর্ণধাররা।

সোমবার জ্যোম্যাটোর কিছু ডেলিভারি বয়রা ডাকল ধর্মঘট। তার কারণ, সেই ধর্মই। কিছু হিন্দু ডেলিভারি বয় বখরি ইদের দিন গরু বা শুয়োরের মাংস ডেলিভারি করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। কারণ এটি, তাঁদের ধর্মের বিরুদ্ধ একটি কাজ। ফলে সমস্যায় পড়েছে বেশ কিছু রেস্তোঁরা।

তাঁদের বক্তব্য, কিছুদিন আগে বেশ কিছু মুসলমান ধর্মাবলম্বী রেস্তোঁরার নাম যোগ হয়েছে জোম্যাটোতে। ফলে হিন্দু ডেলিভারি বয়রা বিফ বা পর্ক ডেলিভারি করতে দ্বিধা বোধ করছে। শুধু তাই নয়, কোম্পানির সঙ্গে তাঁদের টাকাপয়সা ও শারীরিক অসুস্থাজনিত সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের দাবী কোম্পানি থেকে জোর করা হয় তাঁদের এই খাবারগুলি ডেলিভার করতে। অনেক অনুরোধের পরেও সেই অর্ডার ক্যান্সেল করেনা কোম্পানি, বলেই অভিযোগ ডেলিভারি বয়দের।

আরও পড়ুন :খিদে আগে, নাকি ধর্ম? ‘মুসলিম’ ডেলিভারি বয়ের অর্ডার বাতিল গ্রাহকের…

তারই মধ্যে আবার এইসব খাবার ডেলিভারি তাদের ধর্মের বিরোধীতায় আওতায় পড়ছে। তাদের ধার্মিক অনুভূতিতেও খেদ পড়ছে। ফলে তাদের জোম্যাটোর অধিকর্তাদের কাছে বিনিত অনুরোধ যেন এই বিষয়গুলি নিয়ে কিছু ব্যাবস্থা নেওয়া হয়।

এরকম একটি ঘটনায় যেমন হিন্দু ডেলিভারি বয়দের ধর্মীয় আদর্শ ক্ষুন্ন হচ্ছে, ঠিক তেমনই মানসিকভাবে কষ্টে আছেন মুসলমান ডেলিভারি বয়রাও, বক্তব্য জোম্যাটোরই একজন কর্মরত ব্যক্তি বজরাজ লাথ ব্রম্হের। সেই কারণেই এই সোমবার থেকে তাঁরা তাদের কাজ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যতদিন না পর্যন্ত কোম্পানি থেকে এই সমস্যার সুরাহা করার কোনো ব্যবস্থা তাঁরা নিচ্ছেন।