Date : 2024-04-22

“সমঝৌতা” শেষ! ট্রেন নিয়ে ওয়াঘা সীমান্ত পার করবে না পাকিস্তান…

ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান। উষ্কানিমূলক মন্তব্য, হুমকির পর এবার ভারতের চাপ সৃষ্টি করতে আরও একধাপ পা বাড়ালো পাকিস্তান। দিল্লিতে প্রেরিত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে আগেই দেশে ফেরত নিয়েছে পাকিস্তান, এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে চালু হওয়া ভারত-পাক সীমান্তে সংযোগ স্থাপনকারী সমঝৌতা এক্সপ্রেস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। ৩৭০ ধারার বিলোপের পর সমঝোতা এক্সপ্রেস নিয়ে ভারতে আসতে অস্বীকার করলেন পাকিস্তানের রেলকর্মীরা।

আরও পড়ুন : গৃহবন্দি দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কাশ্মীরে জারি ১৪৪ ধারা, দিনভর হট্টোগোল সংসদে

তাঁদের আশঙ্কা, ভারতে গেলে তাঁরা বিপদে পড়তে পারেন। তাই স্থির হয়েছে, তাঁরা ওই ট্রেন নিয়ে আসবেন ওয়াঘা সীমান্ত পর্যন্ত। সেখান থেকে ভারতীয় রেলকর্মীরা ট্রেনটিকে ভারতে নিয়ে আসবেন।

সংবিধানে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা বাতিল করার পর থেকেই প্রবল বিরোধীতার পথে চলতে শুরু করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা থেকে সরিয়ে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্কে স্নায়ুযুদ্ধ ক্রমশ বাড়ছে।

পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বাসারিয়াকে ইসলামাবাদ ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন পাকিস্তান জুড়ে কালা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় পাক সরকার। গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশ পথ আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে, এবং দ্বিপাক্ষিক সমস্ত বানিজ্যই আপাতত স্থগিত করা হবে। এমনকি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমস্ত চুক্তি নিয়েও একে একে সিদ্ধান্ত নেবে ইসলামাবাদ। ভারতের পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অন্যতম একটি ছিল সমঝৌতা এক্সপ্রেস। বুধবার থেকেই তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন : পাক অধিকৃত কাশ্মীর আসলে ভারতেরই, জবাব অমিত শাহর

এই বিষয় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়াও কড়া, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের তরফ থেকে আজ স্পষ্ট ভাষায় পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়া হয়, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। পাকিস্তান এই বিষয়কে কেন্দ্র করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আলোচনার রাস্তা পাকিস্তানের জন্য ভারতের তরফ থেকে এখনও খোলাই রাখা হয়েছে। এভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে নজির সৃষ্টি করতে চাইছে বলে জানানো হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।