কলকাতা: শেষ হয়েছে দুঃখের দিন। ছিন্নবস্ত্র বদলে গেছে ভালো সিল্কের শাড়িতে। উষ্কোখুষ্কো চুল আর খসখসে গায়ের চামরায় বদল এসেছে রানুর। রাণাঘাটের প্লাটফর্ম থেকে তাঁর ঠিকানা এখন রেকর্ডিং স্টুডিওতে। একের পর এক প্লেব্যাকের অফার আসছে রোজই। ঠিক যেন রূপোলী পর্দার কোন চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্টের মতো পাল্টে গেছে রানুদির জীবন।
একটি মাত্র ফেসবুক ভিডিও তাঁকে ভাইরাল করে দেয় রাতারাতি। লতাকন্ঠী রানু এখন ব্যস্ত রেকর্ডিং স্টুডিওয়, একটি পুজো কমিটির থিম সং গাইছেন রানুদি। হাসি, হাসি মুখে নির্ভুল ভাবে গেয়ে চলেছেন রাণাঘাটের নাইটেঙ্গেল।
এবার দুর্গাপুজোয় দমদমের অর্জুনপুরের আমরা সবাই ক্লাবের পুজো মন্ডপে গম গম করে বাজবে তাঁর মিষ্টি মধুর কণ্ঠ। আগমনী সুরে ভেসে যাবে চারদিক। এই গানটি যিনি লিখেছেন তিনিও এমনই লুকিয়ে থাকা প্রতিভা।
রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে ফুটপাথে গিটার বাজিয়ে গান গেয়ে চা বিক্রি করেন নবীন বিজয়। রাণাঘাটের রানুর কন্ঠের সঙ্গে সঙ্গত করবেন তিনি। সব মিলিয়ে অর্জুনপুরের পুজো মন্ডপে এবার সমাজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এমনই বিরল প্রতিভার সুর ভেসে উঠবে। নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে দিব্যি খুশি রানুদি। আরও কাজ করতে চান তিনি, সে কথা জানিয়েছেন রানুদি।