Date : 2024-03-29

Area 51-এ এলিয়ানদের লুকিয়ে রেখেছে USA! দেখুন চাঞ্চল্যকর তথ্য-প্রমাণ….

ওয়েব ডেস্ক: সময়টা ১৯৯৫ সাল, আমেরিকার একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে হঠাৎ-ই চমকে দেওয়ার মতো একটি ভিডিও দেখানো শুরু হয়। সেই চ্যানেলের তরফে দাবি করা হয় সেই ভিডিওটি সম্পূর্ণ সত্য, এবং আমেরিকার লস ভেগাস থেকে ৮৩ কিমি দূরে “এরিয়া ৫১” নামে একটি স্থানে এই ভিডিওটি লাইভ শ্যুট করা হয়েছে। সেইদিন সেই নির্দিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে দেখানো ভিডিও-র উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সারা দুনিয়া। এক পলকে গোটা ভিডিও যেন গিলে খেয়েছিল গোটা বিশ্ব। এবার আপনার হয়তো মনে হবে কি এমন ছিল সেই ভিডিও-য়? হ্যাঁ, সত্যিই দেখবার মতো ছিল সেই ভিডিও। বিজ্ঞানের সমস্ত হিসেব বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল সেই ভিডিও। ভিডিও-এ দেখানো হয়েছিল একটি মৃত অদ্ভুদ দেখতে প্রাণীর দেহ নিয়ে কাটা ছেঁড়া কছেন বিজ্ঞানীরা।

আর এই মৃত অদ্ভুত প্রাণীটি নাকি এলিয়ন! এই ভিডিও-য বলা হয়েছিল পৃথিবীতে “এরিয়া ৫১” নামে স্থানটি ভিনগ্রহের প্রাণীদের গতিবিধিস্থল। এবং একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই স্থানে এলিয়ানদের নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে গোটা বিশ্বকে অন্ধকারে রেখে দিয়ে।

ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই দুনিয়া জুড়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি তবে খোঁজ পেয়েছে ভিনগ্রহবাসীদের ! কিন্তু এই অভিযোগ, ভিডিও, এবং যাবতীয় প্রমাণকে খারিজ করে দেওয়া হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই সেই সংবাদ মাধ্যমের তরফে, এবং বলা হয় ওই ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যে ছিল। তাও আবার ১১ বছর পর এই ভিডিও-র সত্যতা অস্বীকার করে ওই সংবাদ মাধ্যম!

এটাই কি সত্য! না, জেনে নিন “এরিয়া ৫১” এ কে লুকিয়ে আছে…

ঘটনার সূত্রপাত, ১৯৪৭ সালে ৮ জুলাই মার্কিন একাধিক সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হয় নিউ মেক্সিকোর রোজ ওয়েলের কাছে একটি ইউ এফ ও বা আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়ে মাটিতে পড়েছে। এবং সেই ইউ এফ ও থেকে এলিয়ানদের পাওয়া গেছে যাদের চোখ বড় বড় এবং শরীর পাতলা ছিল।

খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই অঞ্চল ঘিরে ফেলে মার্কিন সেনা। ওয়াল্টার হট নামক জৈনক এক মার্কিন সেনাধক্ষ্য তাঁর মৃত্যুর আগে এই তথ্য নথি বদ্ধ করে যান। কিন্তু এই দাবিও মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেওয়া হয় মার্কিন সরকারের তরফে। মার্কিন সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় ওই স্থান মার্কিন সেনা বাহিনীর এবং একটি গ্যাস বেলুন সেই স্থানে দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়ে এসে পড়েছে। এই অঞ্চলে কি ঘটেছিল তা নিয়ে জন সমক্ষে আসা সমস্ত তথ্য নষ্ট করে দেওয়া মার্কিন সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন : গভীর রাতে কারা নেমে আসেন কৈলাশ থেকে! দেখুন ভিডিও

কিন্তু “এরিয়া ৫১” আসলে কি? কেন এই স্থান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের উপর সন্দেহ প্রকাশ করছে গোটা বিশ্ব ? এলিয়ান কি তবে সত্যিই লুকিয়ে আছে ? এমন হাজার প্রশ্ন, গুজব নিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় গোটা বিশ্বের মানুষ। তখনই সামনে আসে সত্য এবং গুজবের সংমিশ্রণে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে “এরিয়া ৫১” অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা হয়েছিল। যদিও ২০১৩ সালে এই স্থানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সিক্রেট এয়ার বেস বলে তথ্য দিয়েছে।

মার্কিন বায়ু সেনার গোপন ঘাটির নামাঙ্কিত “এরিয়া ৫১” স্থানের নিরাপত্তা বেষ্টনি এতটাই কঠিন যে মানুষ তো দূরে, একটা মাছিও বাইরে থেকে সেখানে প্রবেশ করা চেষ্টা করে তাকে খতম করে দেয় মার্কিন সেনা বাহিনী। এই স্থানে ফটো তোলার চেষ্টা করলে সেই যন্ত্র বা মানুষকে ধ্বংস করে দেয় মার্কিন সেনারা। “এরিয়া ৫১”-এ কাজ করে আসা কর্মচারীদের অনেকেই বলেছেন ওই স্থানে এলিয়ানদের নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন : রক্তের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কেরল! আজও অন্ধকারে বিজ্ঞান

এই স্থানে যে এলিয়ানদের রাখা আছে তারা টেলিপ্যাথির মাধ্যমে কথা বলে মানুষের সঙ্গে। পৃথিবী থেকে তারা ৩৯ হাজার আলোকবর্ষ দূর থেকে মাত্র ৩৯ সেকেন্ডে পৃথিবীতে এসেছেন এরা। কিন্তু মার্কিন সরকারের তরফে এই দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, ইউএস আর্মি ওই স্থানে গোপন অস্ত্র ভান্ডার মজুত করেছে। গোপন প্রযুক্তির বিমানের পরীক্ষা হয় ওই স্থানে যা মার্কিন সরকার কখনই নিয়ে আসতে চায় না বিশ্বের কাছে।