ওয়েব ডেস্ক: এমনিতেই বর্ষা এসেছে দেরিতে। বর্ষার অভাবে ইলিশের মতো স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ভোজন প্রিয় বাঙালি। যাও বা মেরে কেটে পাতে উঠেছে ইলিশ তাও মন মতো নয়। বাঙালির সেই স্বাদ পূরণ করতে পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশ সরকার। তবে সেই খেদ মিটতে চলেছে শারদোৎসবে। দীর্ঘ ৭ বছর পর পদ্মার ইলিশ পাতে উঠতে চলেছে বাঙালির। শারদোৎসবের কথা মনে রেখে দুই দেশের সুসম্পর্কের বার্তা দিতে পুজোর মরসুমে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। পুজো উপলক্ষ্যে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০০ টন ইলিশ ভারতে পৌঁছাবে বাংলাদেশ থেকে। রবিবার দুপুরেই বেনাপোল স্থলবন্দরে এসে ঠেকেছে ইলিশ ভর্তি জাহাজ।
তবে সোমবারের মধ্যেই কলকাতায় সেই ইলিশ পৌঁছে যাওয়ার সম্ভবনা। এবার মরসুমের শুরুতে বড় ইলিশ ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে, এবং ৮০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে ছোট ইলিশ। সেখানে পুজোর শুরুতে ৫০০ টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি হলে দাম অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীরা। তাই মধ্যবিত্তের পাতে ইলিশের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে। ব্যবসায়ীদের মত, এই আমদানি যদি মরসুমে হতো তবে অনেকটাই লাভবান হওয়া যেত
প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক কারণে ইলিশ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল হাসিনা সরকার। দীর্ঘ ৭ বছর পর ৫০০ টন ইলিশের রপ্তানী নিছকই পুজোর উপঢৌকন বলে জানানো হয়েছে বাংলাদেশর পক্ষ থেকে। এখনও পর্যন্ত কলকাতার বাজারে ছোট ইলিশের দাম ঘুরছে ৭০০ টাকার মধ্যে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের চালান আসবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ইলিশ নিয়ে আসবেন কলকাতায়। শিয়ালদহ, পাতিপুকুর, বেহালা বাজারে ঢুকবে ইলিশ। এরপর উত্তরবঙ্গেও রফতানি করা হবে ইলিশ।