Icon Icon Icon

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

  • দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া ঝাড়খণ্ডে। লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের পর ৫০ টুকরো দেহ। ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য। অভিযুক্তের নাম নরেশ বেঙরা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
  • চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। ফোনে কথা কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমন দাসের সঙ্গে। বাংলাদেশ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিল্লি নেবে। বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী।
  • ডুয়ার্সের একাধিক নদী থেকে হচ্ছে বালিপাচার। অবৈধভাবে বালি উত্তোলন হচ্ছে আরাংভাসা, ডুডুয়া, জলঢাকা, নানাই, রাঙাতি-সহ একাধিক নদী থেকে।
  • বর্ধমানের শশাঙ্ক বিল ভরাট নিয়ে শোরগোল। পর্দা দিয়ে ঢেকে চুপিসারে ভরাট হচ্ছে ৩০০ বিঘা বিল। বাসিন্দাদের ক্ষোভে কাজ বন্ধ করল পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ভূমি দফতরের আধিকারিকরা।
  • ২ বছর পর মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বৃদ্ধি। প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি ৭৪ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি ১১২ পয়সা। প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়ে হল ৬ টাকা ১৯ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়ে হল ৯ টাকা ২৯ পয়সা।
  • ধর্মতলায় উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার জালনোট। ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার জালনোট। উদ্ধার ২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার জালনোট। গ্রেফতার মালদার বাসিন্দা মনোয়ার শেখ।
  • কাজ চলবে পুরনো প্যান কার্ডেই। বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। যাঁদের কাছে এখন প্যান কার্ড রয়েছে। তাঁদের নতুন প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে না। পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরও বদলের প্রয়োজন নেই। বার্তা কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের।
  • বিজিবিএস-এর প্রস্তুতি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেলে আলিপুরের সৌজন্য প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক। ২০২৫-এর ৫-৬ ফেব্রুয়ারি নিউ টাউনে অনুষ্ঠিত হবে বিজিবিএস।
  • এ ধরণের ভারত বিদ্বেষী আচরণ আগে দেখিনি। ভারত বিরোধী কথা বন্ধ করুন। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভারতে না এসে করাচি কিংবা লাহোর যান, বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
  • চিন্ময় কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে ভিসা বন্ধের আবেদন। সোমবার থেকে একটা গাড়িও যাবে না বাংলাদেশে। সমস্ত পণ্য রফতানি বন্ধ করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর।
  • বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। দোসরা ডিসেম্বর পেট্রাপোল সীমান্তে জমায়েত কর্মসূচি। উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা।
  • আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা। ভিডিও ফুটেজ দেখে আটক ৬ সন্দেহভাজন। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে বিবৃতি। আইনজীবী হত্যার নিন্দা ইউনুস সরকারের।
  • চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অবরোধ। সহকর্মী হত্যায় আদালত বয়কট আইনজীবীদের।
  • বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। অত্যাচারিত হচ্ছে বলে পথে নেমেছেন হিন্দুরা। মৌলবাদীরা যেভাবে জবাইয়ের কথা বলছেন তা চিন্তনীয়। বললেন কলকাতা ইসকনের অন্যতম কর্তা রাধারমন দাস।
  • আদানি ঘুষ ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা ও রাজ্যসভা। আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবি বিরোধীদের। স্পিকার দাবি খারিজ করায় বিরোধীদের হট্টগোল। সারাদিনের মতো মুলতুবি দুই কক্ষের অধিবেশন।
  • দলবিরোধী মন্তব্যের অভিযোগ। শোকজ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ। যথাযথ সময়ে উত্তর দেব, বললেন হুমায়ুন।
  • নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত রাজনীতি করব। দল যদি আমাকে সাসপেন্ড করে আপনারা তো আমার আগে জানবেন। সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া হুমায়ুন কবীরের।
  • চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার সংস্থার কর্ণধার বাসুদেব বাগচী ও তার ছেলে অভীক বাগচী। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ দুইজনের বিরুদ্ধে।
  • সস্ত্রীক বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েককে ৬দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। নির্দেশ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতের। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ সস্ত্রীক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।
  • জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
  • ২০ ডিসেম্বর রাজ্যসভার ছয় আসনে উপনির্বাচন। রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি আসন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। গণনা ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে। মনোনয়ন পেশ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, ওড়িশা এবং হরিয়ানার একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
  • New Date  
  • New Time  
“উমা এলো ঘরে”:আসতেন লর্ড ক্লাইভ,কামানের শব্দে কেঁপে উঠতো কলকাতা….

10
September 2019

“উমা এলো ঘরে”:আসতেন লর্ড ক্লাইভ,কামানের শব্দে কেঁপে উঠতো কলকাতা….

ওয়েব ডেস্ক:

“জাগো যোগমায়া, জাগো মৃন্ময়ী

চিন্ময়ী রূপে তুমি জাগো...

তব কনিষ্ঠা কন্যা ধরণি,

কাঁদে আর ডাকে মাগো…

বরষ, বরষ বৃথা কেঁদে যাই…

বৃথাই মা তোর আগমনী গাই…..”

ওয়েব ডেস্ক: “সেই কবে মাগো আসিলি ত্রেতায়/ আর আসলি নাতো….”, এক কাপ গরম চায়ের পাশে টেবিলে রাখা পুজো সংখ্যার পাতাগুলো উড়ে প্রিয় লেখকের নামটা যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে, শত ব্যস্ততার পরেও একবার চোখ বুলিয়ে নিতে ভুলি না। সোশ্যাল মিডিয়া, টু জি, থ্রী জি থেকে ফাইভ জি-র পথ ধরে বড্ড তাড়াতাড়ি বদলে গেছে না চারপাশটা? তবে পরিবর্তনের মাঝেও কিছু অবিনশ্বর আছেই। শহর কিংবা শহর থেকে দূরে শুধু খুঁজে নিতে হয়। সে কি আছে? এক কালে কলকাতার ঘুম ভাঙত গঙ্গাস্নান করে, এখন হয়তো হোয়াটস্ অ্যাপের ম্যাসেজ চেক করি। কালের প্রভাবে গঙ্গাস্নান এখন পাঁজি নির্ভর। সময় বদলেছে, নিয়ম বদলেছে, কিন্তু বাদলায়নি পিতৃ তর্পনের রেওয়াজ। তেমনই সাবেকিয়ানা ছেড়ে হয়তো থিমের পুজোয় ছুটেছে বাঙালি। কিন্তু এখনও একচালায় টলটল চোখের দিকে তাকিয়েই জল আসে বাঙালির।

৩. বনেদি বাড়ি- শোভাবাজার রাজবাড়ি

শোভাবাজার রাজবাড়ি এখনও জানে রথের রশিতে টান দিলে কাঠামোয় মাটি পড়ে। কলকাতার সাবেকিয়ানার দালানকোঠায় তিনি এখনও আটপৌরে শাড়ির ভাঁজে সুসজ্জিত শ্রী শ্রী কাত্যায়নী মাতা ঠাকুরানী। শরতের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতেই কল্পারম্ভের মাধ্যমে সপরিবারে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। শোভাবাজার রাজবাড়ির বড় তরফ আর ছোট তরফের এই একই নিয়ম চলে আসছে ১৭৫৭ সাল থেকে। ১২ জন পুরোহিত মিলিত হয়ে শোভাবাজার রাজবাড়ির দালানে সুরু করেছিলেন শারদেশ্বরীর বন্দনা। কৃষ্ণ নবমী তিথি থেকে শুক্ল নবমী পর্যন্ত ঘটে পুজিত হন দেবী মহামায়া। আশ্বিন মাসের শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে উন্মোচন হয় দেবীর মৃন্ময়ী বিগ্রহ। দশ দিন ধরে চলে রামায়ণ পাঠ, চণ্ডীপাঠ, বেদপাঠ, মধুসূদন মন্ত্র জপ।

রাজবাড়ির পূর্বসূরি রাধাকান্ত দেবের নির্দেশ অনুযায়ী এই বাড়িতে একমাত্র স্মৃতিতীর্থ পুরোহিতরাই পুজো করতে পারেন। আগে নাকি দেশের চার প্রান্ত থেকে পুরোহিতরা এই বাড়িতে পুজো করতে আসতেন। এখনও যিনি প্রধান পুরোহিত তাঁকে বিশেষ সম্মান সহকারে পুজোর দিন নিয়ে আসা হয়। আগে ঠাকুর তৈরি হত ঠাকুরদালান সংলগ্ন পাঠশালাতে। এখন অবশ্য ঠাকুরদালানেই ঠাকুর তৈরি হয়। এই সময় বাড়ির নিত্যদেবতা রাধাকৃষ্ণ জিউকে তুলে দিয়ে আসা হত নাটমন্দির সংলগ্ন নবরত্ন মন্দিরে। সেখানেই তাঁর পুজো হত। কালের প্রকোপে হারিয়ে গিয়েছে নাটমন্দির। পুজোর ক’টা দিন রাধাগোবিন্দর তাই স্থান হয় পাঠশালার উপরের তলার ঘরে।

ছোট তরফের পুজোয় মুর্তির বিশেষত্ব আছে। সিংহের গায়ের রং রূপোলী। বলতেই বলে রাজা-রাজরাদের ব্যাপার। এখন যে সিংহকে শুধুমাত্র রূপলী রঙ করা হয়, আগে নাকি তাঁর শরীর ঢাকতে বিদেশ থেকে আনানো হতো রূপোর পাত। সেই পাত সমেতই নাকি মায়ের মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হত। এখন রাজাও নেই রাজ্যও নেই, তাই রূপোলী রঙের বাহনেই তুষ্ট দেবী। আগে প্রতিমার গায়ের রূপোর রাংতার সাজ আসত সূদুর জার্মানি থেকে “ডাক” যোগে। তাই মায়ের ডাকের সাজ কথাটির প্রচলন হয়তো এখান থেকেই। চোখ ধাঁধানো কারুকার্যে রূপো, সোনার সিংহাসনে বসানো হতো মৃন্ময়ী মূর্তিকে।

কিন্তু জাত-পাত, ছোঁয়াছুঁয়ির কথা জানলে আপনি হয়তো একটু বিরক্ত হবেন। পুরুষানুক্রমিক ভাবে ওড়িশার ব্রাহ্মণরা পুজোর কাজ সম্পন্ন করেন। বাড়ির মহিলারা দূর থেকে নির্দেশ দেন শুধু। এই বাড়ির বৈশিষ্ট হল, নবকৃষ্ণ দেবের সময় থেকে যাঁরা এ বাড়িতে নিত্যপুজো, ঠাকুরদালান দেখাশোনা বা নায়েবের কাজ, এমনকি বলি দেওয়ার কাজ করতেন, তাঁদের উত্তরপুরুষরা বিগত নয় পুরুষ ধরে এই বাড়িতে রয়ে গিয়েছেন এবং একই কাজ করছেন।

একসময় গোটা কলকাতার মানুষ জানতে পারতো রাজবাড়িতে সন্ধিপুজো শুরু হয়েছে। সশব্দে কামান দাগদেন রাজপরিবারের প্রধান সদস্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন লর্ড ক্লাইভ। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে বর্ণিত আছে। অশুভ শক্তির বিনাশ করতে, দেবী মহামায়া চামুন্ডা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। অষ্টমী তিথির শেষ ৪৮ মিনিট ও নবমী তিথি শুরুর প্রথম ৪৮ মিনিট জুড়ে ঘরের মেয়ে উমা বন্দিত হন অসুরনাশিনী উগ্র চামুন্ডা রূপে। তবে কালের গর্ভে এখন আর কামন দাগে না রাজবাড়ি। শহরের শব্দ দূষণে গ্রাসে গিয়েছে সবই। তাই খেলনা বন্দুকের শব্দেই এখন শুরু হয় সন্ধিপুজো।

রক্ত ছাড়া নাকি শক্তির আরাধনা অসম্পূর্ণ। এক সময় প্রথা মেনে নবমী তিথিতে রাজবাড়িতে বয়ে যেত আস্ত ছাগলের রক্তের স্রোত। মাতৃমূর্তি হয়তো মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী সত্ত্বায় প্রকাশ পেয়েছিলেন ওই নৃসংশতা বন্ধ করতে। এক বার বলির সময় হাঁড়িকাঠ থেকে ছাড়া পেয়ে কী ভাবে একটি পাঁঠা সোজা রাধাকান্তদেবের পায়ের কাছে এসে আশ্রয় নেয়। আশ্রয়প্রার্থীকে আর মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে রাজি হননি রাধাকান্ত দেব। কিন্তু রক্ত ছাড়া যেহেতু শক্তির আরাধনা হয় না তাই পণ্ডিতদের বিধানে পাঁঠার বদলে মাগুর মাছ বলি দেওয়া শুরু হয় সে দিন থেকে। তবে ছোট তরফে এখনও একই নিয়ম চলে আসছে। সপ্তমী থেকে নবমী তিনদিনই ছাগ বলি হয় সেখানে।

অব্রাহ্মণ হওয়ায় শোভাবাজার রাজবাড়িতে অন্নভোগের আয়োজন হয় না। বালুসাই, দরবেশ, মতিচূড়, ল্যাংচা, পাকুলি, খাস্তা কচুরি, শিঙারা ইত্যাদি ভোগ হিসাবে বিখ্যাত। এখানকার খাস্তা কচুরি আর শিঙারা তৈরি হয় শুধুমাত্র ডালের পুর দিয়ে। যে সময় পুজো আরম্ভ, অর্থাৎ ১৭৫৭ নাগাদ বাঙালির হেঁসেলে আলু অপরিচিত ছিল। সেই নিয়ম মেনে এখনও পুজোর কোনও কিছুতে আলু দেওয়া হয় না। ষষ্ঠীর দিন বাড়ির মেয়ে-বউরা ব্রত রাখেন বলে এই দিন কুমড়োর ছক্কা, লুচি, মিষ্টি দই আলাদা করে শরিক সেবায়েতদের বাড়ি পাঠানো হয়। এই বাড়িতে অন্নভোগ দেওয়া হয় না বলে শুকনো চাল দেবীকে অর্পণ করা হয়। এই চালের উপর কলা, চিনি আর ক্ষীরের মণ্ড সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া হয়। একে বলে ‘আগা’। এই বাড়ির ছোট তরফে একটা সময়ে বিশাল বিশাল থালায় এক কিলো ওজনের সাদা রঙের মোতিচূড় লাড্ডু ভোগে দেওয়া হত, এর মধ্যে থাকত গোলমরিচ আর এলাচ। বিরাট বড় জিভেগজা, এক আঙুল সমান উঁচু জিলিপি আকারে আয়তনে দেখার মতো ছিল সেই সময়ের ভোগের আয়োজন।

সব শেষে মাকে বিদায় জানানোর পালা। ইচ্ছা-অনিচ্ছা আগামীর আশা নিয়েই শুরু হয় কনকাঞ্জলীর পর্ব। ঠিক যেন ঘরের মেয়ে একবছরের মতো ফিরে যান শ্বশুড় ঘরে।

শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় যেমন কনকাঞ্জলি দেয়, এই বাড়ির দুর্গাও কৈলাশে যাওয়ার সময় কনকাঞ্জলি দেন। শোভাবাজার রাজবাড়ির দুই তরফেই এই প্রথা প্রচলিত আছে। আগে বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলারা আঁচল পেতে কনকাঞ্জলি নিতেন। সোনা-রুপোর মুদ্রা, চাল, এসব দেওয়া হত কনকাঞ্জলিতে। এখন আর সোনা-রুপোর মুদ্রা নয়, টাকাপয়সা, চাল এ সবই দেওয়া হয় কনকাঞ্জলিতে। ঠাকুরমশাই দেবীর পিছন দিকে এগুলি ফেলেন। চারদিনের জাঁক জমকের ঋণ যেন পরিশোধ করে দিয়ে ঘরের মেয়ে ফিরে যান নিজের ঘরে। বাড়ির বড়রা ঠাকুরের পিছনে দঁড়িয়ে সেগুলি গ্রহণ করেন। ছোট তরফে মাকে বিসর্জন দেওয়ার আগে বাড়ি থেকে রওনা করার সময় তলোয়ার পুজো করা হয়। মনে করা হয় এই তলোয়ারই সারা বছর পরিবারকে রক্ষা করবে বিপদআপদ থেকে।

এরপর সেই কঠিন প্রথা, দালান জুড়ে আলো করে থাকা মাতাঠাকুরানীর গঙ্গাপথে কৈলাস যাত্রা। সত্তর দশকে যখন কলকাতা অশান্ত হয় রাজনৈতিক কারণে তখন থেকে অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগে নিয়ম মেনে নীলকণ্ঠ পাখি ছাড়া হলেও এখন সেই প্রথা বন্ধ। তার বদলে বেলুনে শোলার তৈরি নীলকণ্ঠ বসিয়ে উত্তর মুখ করে সেই বেলুন ছেড়ে দেন বড় তরফ আর মাটির নীলকণ্ঠে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে সেটি ভাসিয়ে দেন ছোট তরফের সদস্যরা। এর পর মাঝগঙ্গায় জোড়া নৌকায় করে ঠাকুর নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়।

পুজো আসে পুজো যায়। স্টাইল, ট্রেন্ড, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, সোশ্যাল মিডিয়া, ঘোরাঘুরি বদলে কলকাতার দুর্গাপুজো এখন ১৫ দিনের প্যাকেজ কার্নিভাল। ভাবছেন ধুলো জমেছে সাবেকিয়ানায়? পর্দা সরিয়ে দেখুন, দালানকোঠায় কুমোরের হাতে কাঁচা ভেজা মাটির গন্ধ না পেলে পুজো পুজো মনেই হবে না।

Gautam Barat : বুম্বাদা Prosenjit Chatterjee বলেছিলেন আমাকে নিয়ে Story করতে । Tollywood Story

THE NEWSROOM PLUS : ” আমার খুন করতে ভালো লাগে ” – সৌরভ দাস । SOURAV DAS EXCLUSIVE । RPLUS NEWS

Tanmoy bhattacharya Exclusive:রাজনীতি শেখা উচিত কার থেকে ?।The Newsroom Plus।Baranagar By Election

Koustav Bagchi Exclusive : “যা করেছি বেশ করেছি” – কেন বললেন কৌস্তভ ?

Ayodhya Ram Mandir News

Ayodhya Ram Mandir News : রামসুধায় মেতেছেন ভক্তরা । R Plus News

What Men Really Wants : “পুরুষ কি চায় ? ” । @RPlusnewsdigital

Rahul Gandhi defamation case news : রাহুল গান্ধীর সুপ্রিম স্বস্তি @Rplusnewsdigital

Nawsad Siddique Exclusive : বিস্ফোরক নওসাদ ! । @RPlusnewsdigital ​

Adah Sharma rushed to a Hospital in Critical Condition : হাসপাতালে আদা শর্মা ! @RPlusnewsdigital ​