ওয়েব ডেস্ক: বাংলা ছবির ভক্ত অথচ সময়ের অভাবে মাল্টিপ্লেক্সে বসে ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার সৌভাগ্য হয় না এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অগত্যা অনলাইনে ল্যাপটপ অথবা মোবাইলেই স্বাদপূরণ করতে হয় সিনেমা দেখার। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলা ছবির দর্শকদের হলে বসে পাড়া-পড়শি, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে নিপাট বাংলা ছবি দেখার আনন্দ উপভোগ করার উপায় নেই। না, সেই দিন এবার শেষ হল দিল্লিবাসীদের জন্য। প্রতি বছরের মতো এবছরও বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করেছে দ্বাদশ বাংলা সিনে উৎসব-এর।
১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লির মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে চলবে এই সিনে উৎসব, যেখানে প্রদর্শিত হবে একগুচ্ছ জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা। বর্তমানে বাংলা ছবির ধারার সঙ্গে আরও পরিচিতি বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ছবি।
সামনেই দুর্গাপুজো তার আগেই উৎসবের আমেজে দিল্লির বাঙালি এবার মেতে উঠতে চলেছে ১২তম বাংলা সিনে উৎসবে। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ১২ তম বাংলা সিনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন। তিনদিনের এই বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের মোট ১১ টি বাংলা ছবি দেখানো হবে।
৭টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিও থাকছে চলচ্চিত্র উৎসবে। ঋতুপর্ণা ছাড়াও চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, সুদেষ্ণা রায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, বরুণ চন্দ, শ্রীলা মজুমদার, অভিজিৎ গুহ, রেশমি মিত্র, অনুপম প্রমুখ টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে বাংলা সিনে উৎসবে ‘মাটি’, ‘সামসারা’, ‘শ্রাবণের ধারা’, ‘অব্যক্ত’, ‘আহা রে’, ‘বিজয়া’, ‘তারিখ’, ‘মুখার্জিদার বউ’, ‘কলকাতায় কোহিনূর’, ‘লাইম লাইট’, ‘আমি জয় চ্যাটার্জি’-র মতো একগুচ্ছ জনপ্রিয় ছবি।
উৎসবের শেষ দিনে উপস্থিত থাকবেন আবির চট্টোপাধ্যায়। বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত জানিয়েছে, বহু মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই ১২তম বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক দীপক ভট্টাচার্যের দাবি, প্রবাসে বসে মাতৃভূমিকে কাছে পাওয়ার অনুভুতি আলাদা। আশা করা হচ্ছে দীর্ঘ এই প্রয়াস অবশ্যই সফল হবে।