ওয়েব ডেস্ক: “দধামা করপদ্মভ্যাম্ অক্ষমালা কমণ্ডলু ,
দেবী প্রসিদেতু ময়ী ব্রক্ষচারিন্যেনুত্তমা !!”
নবরাত্রীর দ্বিতীয় রাত আজ। ত্রেতাযুগে রাবণ সীতাকে হরণ করার পর এমন অসংখ্য রাত জেগে কাটিয়েছিলেন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র। স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের নবরাত্রীতে দেবীর অকাল বোধন করেছিলেন। আর সেই নবরাত্রীর দ্বিতীয় রাত্রীতে যে দেবীর আরাধনা করা হয় তিনি হলেন ব্রহ্মচারিণী।নবরাত্রীতে পূজিত দেবীর দ্বিতীয় রূপ। কালিকা পুরানে বর্ণিত আছে, দেবী পার্বতী মহাদেবকে তুষ্ট করার জন্য তপোবনে কঠোর তপস্যায় ব্রতী হয়েছিলেন। এই সময় দেবী শুধুমাত্র বিল্বপত্র, বায়ু,জল ভক্ষন করতেন। তপস্যা করতে করতে তিনি কঙ্কালসার রূপে পরিনত হন, তা দেখে দেবতারা ভয় পেয়ে যায়। দেবী ত্যাগ ও মোক্ষ লাভের প্রতীক। এই দেবীকে খুব সল্প আয়োজনে তুষ্ট করা যায়। দেবীর একহাতে রুদ্রাক্ষ অন্য হাতে কমন্ডুলু, বর্তমানে উত্তর কাশী সংলগ্ন সতীকুন্ড অঞ্চল তার তপস্যা স্থান হিসাবে পরিচিত।
দেবীকে সামান্য ফল, সর্করা ও বিল্বপত্র ভোগ দিলে খুব তুষ্ট হন। স্বয়ং ব্রহ্মা দেবী ব্রহ্মচারিণীর কৃপায় ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেছিলেন। দেবী ব্রহ্মচারিণীকে তাই অপার জ্ঞান ও ত্যাগের দেবী বলা হয়। এই দেবীর উপাসনায় কৃচ্ছ সাধন অত্যন্ত আবশ্যক। উপবাস থেকে এই দেবীর আরাধনা করতে হয়। নবরাত্রীর দ্বিতীয় রাত্রী তাই ত্যাগ ও সাদার রাত্রী বলা হয়। ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে রাত্রীব্যাপী দেবীর আরাধনা করা হয়।