Date : 2024-04-20

চাঁদের কাছে গিয়ে চুপ করে রইল “বিক্রম”, বিজ্ঞানে ব্যর্থতা নেই, শান্তনা মোদীর…

ওয়েব ডেস্ক : এই প্রথমবার ঠিক কতটা কঠিন চ্যানেঞ্জ নিলেন বিজ্ঞানীরা? সেই সম্পর্কে ধারণা নেই অধিকাংশ অনেকেরই। শুক্রবার ল্যান্ডিং-এর অনেক আগে থেকেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়ে এসেছেন, অবতরণের আগে শেষ ১৫ মিনিট সময় উদ্বেগের। রাত ১ টা ৫৫ নাগাদ অবতরণের সময় আশঙ্কায় ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ২.১ কিমি দূরে হঠাৎ-ই সম্পর্ক ছিন্ন হল ল্যান্ডার বিক্রমের।

চাঁদের একদম কাছাকাছি পরিকল্পনা মাফিক পৌঁছেও ল্যান্ডার বিক্রম ছুঁতে পারল না চাঁদের মাটি। এ প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ কে শিবন বলেন, “এটি একটি ভীষণই জটিল প্রক্রিয়া। প্রথমবার এমন কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা। কোনও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মহাকাশসংস্থার কাছেও এটি সমান কঠিন।” ইসরোর কন্ট্রোল রুমের সেই মুহুর্তের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “শেষ ১৫ মিনিট হবে সবথেকে রুদ্ধশ্বাস কিছু মুহূর্ত।”

কিন্তু ১৫ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধের পরের বাকি ৪০ মিনিট সময় হতাশা নেমে এলো ইসরোর বুকে। দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টা করার পর ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে ভেঙে পড়লেন ইসরোর প্রধান কে. শিবন। শান্তনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। প্রয়োগ আর প্রচেষ্টা থাকে। তার মধ্য দিয়েই শুধু শিক্ষা মেলে।” দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চন্দ্রযান-২-এর অবতরণ দেখতে উপস্থিত ছিলেন পড়ুয়ারা।

চন্দ্রযান-২-এর বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণ ব্যর্থ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বড় হয়ে কী হতে চায় সে কথাও বলে পড়ুয়ারা। এমনই এক পড়ুয়া প্রধামন্ত্রীকে বলে, সে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চায়। তার স্বপ্নের কথা শুনে ভীষণ খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। তবে, নরেন্দ্র মোদীও কৌতুহলবশত প্রশ্ন করেন, প্রেসিডেন্ট কেন? প্রধানমন্ত্রী নয় কেন? বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে এদিন নরেন্দ্র মোদী জানান, সাহস হারাবেন না। জীবনে উত্থান-পতন থাকেই।

ভবিষ্যতে ফের অভিযান করব। আমি আপনাদের পাশে রয়ছি। হিম্মত রাখুন। রাত ২.২০ নাগাদ ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। এরপরেই হঠাৎ-ই রণে ভঙ্গ দেয় “বিক্রম”। সামান্য দূরত্বের জন্য সাফল্যের দোরগোরায় এসে ব্যর্থ হয়ে ভেঙে পড়েন ইসরো প্রধান কে. শিবন। চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে পারেনি বিক্রম, এই ঘোষণা করতে গিয়ে গলা বন্ধ হয়ে আসে তাঁর।