Date : 2024-04-20

রসগোল্লা তুমি কার? ভৌগলিক দিক থেকেও ওড়িশাকে পিছনে ফেলে দিল বাংলা….

কলকাতা: বাংলার সঙ্গে লড়াই করতে নেমে রসগোল্লা নিয়ে ফের তেতো মুখেই ফিরতে হলো ওড়িশাকে। জিআই রেজিস্ট্রেশন অফিসে ওড়িশার রসগোল্লার আবিষ্কর্তা হওয়ার দাবিকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার জিআই অফিসে নথি তথ্য দিতে ব্যর্থ হয় ওড়িশা। ফলে রসগোল্লা হাতছাড়া হল ওড়িশার। জিআই অফিসের স্বীকৃতি অনুযায়ী রসগোল্লা শুধুমাত্র বাংলার। ভৌগলিক দিক থেকেও রসগোল্লা আবিষ্কারে বাংলা,ওড়িশার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। রসে টৈটুম্বর ছানার বল রসিকদের জিভে পড়লেই স্বর্গীয় অনুভুতি। শোক বা আনন্দে, রসগোল্লাই বাঙালির সঙ্গী।

দুবছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াইয়ের পর জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন দফতরও শিলমোহর পড়ে পশ্চিমবঙ্গের দাবীতে, ‘রসগোল্লার জন্ম বাংলায়, রসগোল্লা বাংলারই ৷’ গত ১৪ নভেম্বর ২০১৭ সালে রসগোল্লায় জিআই পেয়েছিল বাংলা। কিন্তু তাতেও হার মানেনি ওড়িশা ৷ রসগোল্লার জিআই বাংলা পাওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে ফের ওড়িশা মামলা করে। ফের যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখে মাস কয়েক আগে ওড়িশাকেও রসগোল্লার জিআই দিয়েওছিল তারা।

কিন্তু চুড়ান্ত সময়ে এসে দাবির সমর্থনে নথি জমা দিতে না পেরে শেষ মিষ্টি হাসি হাসল বাংলাই ৷ প্রাচীন পুঁথি দিয়েই এবার ওড়িশাকে পাল্টা চাল দিল বাংলা। ওড়িশার যুক্তি ছিল একশো বছর ধরে জগন্নাথ মন্দিরে দুধ কেটে ছানা তৈরি হয়। তাই জগন্নাথ মন্দিরেই প্রথম ছানার রসগোল্লার উৎপত্তি। বাংলার ইতিহাস বলছে ১৯৬৪ সালে নবীন চন্দ্র দাসের হাত ধরেই প্রথম রসগোল্লার উৎপত্তি। তবে অফিসিয়ালি ১৯৬৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে রসগোল্লা। এর স্বীকৃতি দিয়েছেন ইতিহাসবিদরাও। অবিভক্ত বাংলা-বিহার-ওড়িশায় রসগোল্লার কথা রয়েছে। তাই আলাদা করে ওড়িশাতেই রসগোল্লা তৈরি হয়েছে এটা সঠিক তথ্য নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।