Date : 2024-03-19

চাঁদে ধুলোর ঝড়ে চেতনা হারিয়ে পড়ে আছে বিক্রম! ছুটে বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক ইলেকট্রন!….

ওয়েব ডেস্ক: চাঁদে নামার স্বপ্ন পূরণ হলেও, বিক্রম চাঁদে পৌঁছনোর পর নিশ্চুপই থেকে গেছে। সঠিক সময় পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ব্রেক কষতে না পেরে চাঁদের বুকে আছাড় খেয়ে পড়েছে বিক্রম। হাত-পা ভেঙে বিক্রম যে ক্ষতিগ্রস্ত সেকথা জানানো হয়েছে নাসার তরফে। বিক্রম হয়তো রণে ভঙ্গ দিয়েছে কিন্তু, এখনও চেষ্টা চালিয়া যাচ্ছে অরবিটার। চাঁদের কক্ষপথে পাক খেতে খেতে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে সে। অর্বিটারের হাই সেন্সর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চাঁদের পৃষ্ঠে ঘটে চলা অদ্ভুত ঘটনা। চাঁদের দক্ষিণ পীঠের উপর পাক খাচ্ছে অরবিটার। অরবিটারের তথ্য বলছে, বিক্রমের ট্রান্সমিটার, অ্যান্টেনা, রেডিও কোনটাই আর কাজের মতে নেই।

সোলার প্যানেলকে অ্যাকটিভ করার উপায় নেই, কারণ সূর্যের আলো এখন সরাসরি চাঁদের দক্ষিণ পিঠে পড়ছে না। অন্ধকারের মধ্যে থেকেই অর্বিটার তুলে আনছে ছবি। ৬ দিনে চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠ পুরোপুরি পাক খেয়েছে অর্বিটার। অর্বিটারের স্পেক্ট্রোমিটার চাঁদের মাটিতে খনিজের সন্ধান পেয়েছে, এছাড়াও সেখানে কিছু চার্জড পার্টিক্যালের সন্ধান পেয়েছে অর্বিটারের ক্যামেরা। চাঁদের বুকে ধুলোর মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়ামও সিলিকনের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ওই খনিজ মৌলগুলির অনু পরমানুর মধ্যে চলছে যুদ্ধ। ফলে ঝড়ের মতো উড়ে চলেছে খনিজের ইলেক্ট্রনগুলি। এরই মধ্যে ধাতব অবজেক্ট দেখা গেছে। মনে করা হচ্ছে সেখানেই প্রাণ হারিয়ে পড়ে আছে বিক্রম। বিজ্ঞানীদের ধারনা, চাঁদের বুকে খুব সহজেই পৌঁছে যায় মহাজাগতিক রশ্মি। ফলে সেই রশ্মির আঘাতে রেগোলিথ বা চাঁদের ধুলিকণা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ফলে বিদ্যুৎ তরঙ্গে সৃষ্টি হয় ও তাপমাত্রার হের ফের হতে দেখা যায়। এর প্রভাবেই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। ইসরোর বিজ্ঞানীদের ধারনা এইভাবে পর্যবেক্ষণ চালাতে থাকলে চাঁদের বুক থেকে আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে অর্বিটার।