কলকাতা: এবার দলত্যাগের পথেই হাঁটতে চলেছেন সব্যসাচী দত্ত। বিজেপি সূত্রের খবর মঙ্গলবার রাজ্য আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর হাত থেকেই বিজেপির পতাকা তুলে নেবেন সব্যসাচী দত্ত। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের অন্দরে জল্পনা ছিল সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের কথা। এরপরই বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পদে আসীন সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে একযোগে অনাস্থা আনেন কাউন্সিলররা। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালতে দু’পক্ষের দড়ি টানাটানিতে প্রাথমিকভাবে সবস্যচী দত্ত জিতে গেলেও, তারপরই আসে নাটকীয় মোড়।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পদ ত্যাগ করলেও তৃণমূলের সদ্যস্য হিসাবে থাকাকালীন ক্রমশই তাঁর মুখে উঠে আসছিল দল বিরোধী কথা। বার বার দলের তরফে সতর্ক করা হলেও আমল দেননি বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। দেবীপক্ষের শুরুতেই নিজের রাজনৈতিক জীবনে নতুন মাইলস্টোন শুরু করতে চলেছেন সব্যসাচী দত্ত। যদিও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বেশ কয়েকমাস আগেই। এরপর রাজ্য বিজেপি মুকুল রায় তাঁর বাড়িতে আসলে ঘটনাটি নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উড়িয়ে দিলেও দলের অন্দরে শুরু হয় জল্পনা। দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে সব্যসাচী দত্তর।
এরপরে হঠাৎ-ই বিধাননগরের মেয়রপদ ত্যাগ করেন সব্যসাচী দত্ত। দলত্যাগের কথা মুখে না জানালেও সম্প্রতি গণেশ পূজা উপলক্ষ্যে সব্যসাচী দত্তের পাড়ার পুজোয় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা। এমনকি পদ্মফুলের আদলে তৈরি করা হয়েছিল প্যান্ডেল। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সব্যসাচী দত্ত যজ্ঞের আয়োজন করেন। এরপরেই দলত্যাগের জল্পনা ক্রমশ জোরালো হতে থাকে। যদিওবা ‘লুচি-আলুরদম’ পর্ব থেকেই মুকুল রায় ‘দাদা’ হিসাবে সব্যসাচী দত্তের পাশেই ছিলেন। তাই সব্য়সাচী দত্তের দলত্যাগ প্রথম থেকেই জোড়ালো ছিল বলেই মত রাজনৈতিক মহলে। “এরকম অনেকেই দল ছেড়ে গিয়েছে। দল ছেড়ে গিয়ে ভেসে গিয়েছে তারা। কে কোথায় গেল, তার খোঁজ রাখি না।” সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগদানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।