মুর্শিদাবাদ: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে রহস্য। ঘটনায় মৃত শিক্ষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন ও স্ত্রী বিউটি দেবীর হাতে লেখা একটি চিঠি। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল প্রতিবেশীর কাছ থেকে বেশকিছু টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা আদায় করাকে কেন্দ্র করেই সম্ভবত বচসা বাঁধে। তবে উদ্ধার হওয়া জিনিসের সূত্র ধরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর সঙ্গে মৃত শিক্ষকের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। ডায়রীর পাতা থেকে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় কোন ব্যক্তি ছিল কিনা তাই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে এখনও পর্যন্ত হ্যান্ডরাইটিং পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। উল্লেখ্য, দশমীর দিন রাতে কাশিগঞ্জের বকুলপাড়া রহস্যজনকভাবে খুন হন বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল ও তাঁদের ৮ বছরের সন্তান রহস্যজনকভাবে খুন হন। বুধবার সকালে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের দেখতে না পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর মৃতরা সাগরদিঘির বাসিন্দা। চাকরি সূত্রে গত দুবছর আগে পরিবারকে নিয়ে কাশিগঞ্জে চলে আসেন বন্ধুপ্রকাশবাবু। এদিকে নিহতে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য। নিহত শিক্ষকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দোষীদের খোঁজ শুরু করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। এমনকি ওই শিক্ষক আরএসএস সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। এমনকি এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ঘটনায় সরব হয়েছেন বিদ্বজ্জনেরাও।