ওয়েব ডেস্ক:- লোকসভা নির্বাচনের পর ফের রাজ্যে বড় পরীক্ষার মুখে তৃণমূল-বিজেপি শিবির। সোমবার রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন কি তবে ২০২১-এ শাসকদল ও বিজেপির ব্যালট বক্সের যুদ্ধের সেমিফাইনাল! করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। তিন কেন্দ্রেই কার্যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে গেরুয়া ও সবুজ শিবিরের মধ্যে। তিন কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। করিমপুর ও খড়গপুরে কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসলেও মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। করিমপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র ও খড়গপুর কেন্দ্রের বিধায়ক দিলীপ ঘোষ সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ওই দুটি আসন ফাঁকা হয়ে গেছে।
অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুর পর ওই আসনটিও ফাঁকা হয়েছে। আজ সেই কেন্দ্রেও চলছে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কালিয়াগঞ্জে পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি ও খড়গপুরে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি বুথে মোতায়েন আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
তিন আসনের ৩১০টি বুথে রয়েছে মাইক্রো অবজার্ভার। কালিয়াগঞ্জে পেপারের ভিতর লিফলেট বিলি করা হয়েছে। যেখানে ওপিনিয়ন পোলে এগিয়ে রাখা হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। এই নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে কমিশনে। করিমপুরের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুরেও আরও ২০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
করিমপুরে ডেমো ইভিএম-এ প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। এছাড়া ভোট শুরু হতেই করিমপুরের ঘিয়াঘাটে জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধর, লাথি মারা ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে তারিকুল শেখ নামে এক যুবকের।
তাঁকে জয়প্রকাশ মজুমদারের পিঠে লাঠি মারতে দেখা যায়। তারিকুল শেখ সহ আরও ৯ তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। খড়্গপুরে এসডিপিও-কে ৮ দিন আগে সরানো হলেও, তারপরেও তিনি এলাকায় শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন বলে সিইও-র কাছে অভিযোগ করেন শিশির বাজোরিয়া। প্রতিটি অভিযোগই বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। কমিশন অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।