ওয়েব ডেস্ক:- ইনসুলিন না নিলে প্রাণে বাঁচানো যাবে না আপনার শিশুকে। চিকিৎসকের নিদান শুনে কত বাবা-মায়ের চোখ জলে ভরে গেছে। কি করণে তাদের জীবণে এই অভিশাপ নেমে এসেছে, অনেক সময় তারা অবগত থাকেন না সেই বিষয়ে। সন্তানকে কষ্ট পেতে দেখে এমন অনেক বাবা-মায়ের প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়, কি কারণে ছোট্ট, ছোট্ট শিশুরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত? ডাক্তারি পরিভাষায় ডায়বেটিসকে বলা হয় “মাদার অফ অল ডিসিস”। শরীরে বাসা বেঁধে একের পর অঙ্গকে আক্রমণ করে এই রোগ। চোখ, কিডনি, লিভার, হার্ট সব অঙ্গের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই রোগ। নষ্ট করে দেয় চুল, ত্বক, দাঁত এমনকি হাত ও পায়ের নখ। একরত্তি বয়সে আপনার শিশুর শরীরে যদি বাসা বাঁধে ‘সাইলেন্ট কিলার’, কি করে বুঝবেন, কি করেই বা সন্তানকে বাঁচাবেন এই ঘাতকের হাত থেকে? জেনে নিন কারণ….
শিশুদের শরীরে সাধারণত টাইপ ১ ডায়বেটিস ধরা পড়ে। বর্তমানে এই ধরণের ডায়বেটিসের প্রবনতা ক্রমশ বাড়ছে। মানুষের শরীরে অগ্নাশয়ের বা প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলে তৈরি হয় ইনসুলিন, যা রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনভাবে যদি এই ইনসুলিনের ক্ষরণ বন্ধ হয় বা ব্যহত হয় তাহলে রক্তে অনিয়ন্ত্রিত হয় শর্করার পরিমান। মধুমেহ বা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হন রোগী। একে জুভেনাইল ডায়াবেটিস বা ইনসুলিননির্ভর ডায়াবেটিসও বলা হয়। এই মারাত্মক ঘাটতির ফলে রক্তপ্রবাহ থেকে গ্লুকোজ সব দেহকোষে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। ইনসুলিন দিয়ে ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হলে শিশুটি মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তবে সঠিক সময়ে রোগ ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা নিলে শিশুটি সুস্থ থাকে।
১) পরিবারে ডায়বেটিসের ইতিহাস থাকলে আক্রান্ত হতে পারে আপনার শিশু। সেক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৪ বছরের শিশুর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যতিক্রম আছে অবশ্যই।
২) মাম্পস, রুবেলা, ককজেকি ধরনের ভাইরাসের কারণে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী সেল নষ্ট হলে।
৩) জন্মের পর শিশু ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ না পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয় শরীরে।
৪) বর্তমান যুগে শিশুদের সাধারণ খেলাধুলোর পরিবেশ নষ্ট হওয়া। স্মার্ট ফোনে সময় কাটায় অলস শৈশব। টাইপ ১ ডায়বেটিসের এটা অন্যতম কারণ।
৫) অসময়ে খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড ও মিস্টি জাতীয় খাবারে ছোট থেকেই অভ্যস্ত হলে আপনার শিশুর ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবনতা বাড়ে।