Date : 2024-04-19

অন্ধ্রের উমা মহেশ্বর মন্দিরে বেড়ে উঠছে নন্দীর মূর্তি, উত্তর খুঁজে ব্যর্থ বিজ্ঞান….

ওয়েব ডেস্ক:- অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার ইয়াগন্তী উমা মহেশ্বরের মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা অনেকেরই জানা। ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকার সঙ্গে সঙ্গে এই মন্দিরে রয়েছে রহস্যজনক ঘটনা। মন্দিরে পুজিত হন শিব, সঙ্গে থাকেন তাঁর বাহন ও পরম প্রিয় প্রমথ নন্দী মহারাজ। এই মন্দিরে অবস্থিত নন্দীর মূর্তি নিয়ে একটি প্রচলিত কথা রয়েছে। এই মন্দিরে নাকি নন্দী মহারাজের মূর্তি ক্রমশ বড় হচ্ছে। এই মন্দিরের অলৌকিক গাঁথা বলছে একদিন নন্দী জীবিত হয়ে উঠবেন। তিনি বেঁচে উঠলে নাকি এই যুগের অবসান হবে, ধ্বংস হবে পৃথিবীর।

মন্দিরের পুরোহিতদের কথায় প্রত্যেক ২০ বছর অন্তর এই মূর্তি ১ ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রহস্য উন্মোচনের জন্য চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব মহল। বিশেষজ্ঞদের মত, এই মূর্তি তৈরিতে যে পাথরের ব্যবহার হয়েছে তা প্রাকৃতিক ভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূর্তি বৃদ্ধি পেলেও তা অত্যন্ত নগন্য পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং এটি বিষ্ময়কর ঘটনা নয়।

কাশি নিয়ে ডাক্তারের কাছে, গলা, নাক থেকে বেরোল জোঁক

মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের বক্তব্য শুনলে সত্যিই অবাক হতে হয়। তাদের বক্তব্য, আগে নন্দীর মূর্তি পরিক্রমা করা যেত সহজেই। আয়তনে বেড়ে যাওয়ার ফলে এখন আর সেই মূর্তি পরিক্রমা করা সম্ভব হচ্ছে না। মূর্তি বড় হতে দেখে মন্দির কর্তৃপক্ষ একটি থাম সরিয়ে ফেলেছেন মূর্তির পাশ থেকে।

এখানেই শেষ হয়নি রহস্যের। মন্দির চত্বরে গেলে আপনি দেখতে পাবেন না একটিও কাক। পুরাণে বর্ণিত আছে, এই মন্দিরে তপস্যা করার সময় ঋষি অগস্থ্যকে কাক খুব বিরক্ত করেছিল। ক্রোধের বশে ঋষি কাককে অভিশাপ দিয়েছিলেন যাতে কখনও কোন কাক এই মন্দিরের ধারে কাছে আসতে না পারে।

পৃথিবীতেই রয়েছে এলিয়ানদের স্পেস স্টেশন!

শুধু তাই নয়, এই মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে আছে পুষ্করিনী। সেই পুষ্করিনী ঘিরেও রয়েছে রহস্য। মন্দিরে যে নন্দী মূর্তি রয়েছে সেই মূর্তির মুখ থেকে অনবরত জল পড়ে। রহস্যজনক ভাবে আজ পর্যন্ত এই জলের উৎস কেউ জানতে পারেনি। পুরানে কথিত আছে ঋষি অগস্ত্য এই স্থানে ভেঙ্কটেশ মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে এসেছিলেন। মন্দির তৈরির কাজ শেষ হলেও মন্দিরে প্রতিমা স্থাপন করার সময় আঙুল ভেঙে যায়। ঘটনার কারণ জানতে ঋষি অগস্ত্য তপস্যায় বসলে মহাদেব তাঁকে মন্দির প্রতিষ্ঠার আদেশ দেন। এরপর খ্রীষ্টপূর্ব ১৫ শতাব্দীতে সাংমা বংশীয় রাজা হরিহর বুক্কা তৈরি করেছিলেন এই মন্দির। ঋষি অগস্ত্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় উমা মহেশ্বর ও নন্দীর মূর্তি।