ওয়েব ডেস্ক:- ঘটনার পুনঃনির্মান করার জন্য সকাল সকাল ৪ ধর্ষককে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিল পুলিশ। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৪ অভিযুক্তরা। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে এনএইচ-৪৪ জাতীয় সড়কের উপর পুলিশ অভিযুক্ত ৪ ধর্ষককে ধরার জন্য এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ। যে স্থান থেকে তরুণীর দেহ মিলেছিল তার কাছেই ৪ অভিযুক্তকে গুলি চালিয়ে খতম করে দেয় পুলিশ। এনকাউন্টারের ঘটনায় ৪ ধর্ষকের মৃত্যুর পর হায়দরাবাদের সাইবারাবাদ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা দেশ। ৪ ধর্ষকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উল্লাসে ফেটে পড়ে দেশের মানুষ। অধিকাংশেরই বক্তব্য, হায়দরাবাদে ধর্ষিত তরুণী পশু চিকিৎসক আদতে ন্যায় বিচার পেল।তেলেঙ্গানার রাস্তায় নেমে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অভিনন্দন জানালো পুলিশকে। ঘটনাস্থলে মিষ্টি বিতরণ করে পুলিশকে শুভেচ্ছা জানায় স্থানীয়রা। শুধু তেলেঙ্গানাতেই নয়, দেশজুড়ে সাইবারাবাদ পুলিশকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিমি দূরে এনএইচ-৪৪-এর কাছে নৃশংস ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। কোল্লুরু গ্রামের বাড়িতে ফেরার সময় রাত ৯টা নাগাদ সামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে স্কুটির টায়ার ফেটে যায় ওই পশু চিকিত্সকের। ২৯ নভেম্বর ওই টোল প্লাজা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে তরুণী চিকিত্সকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের অনুমান ছিল, গণধর্ষণের পর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজনের বয়ান ও সিসিটিভি ফুটেজের প্রমানের ভিত্তিতে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে অভিযুক্তরা স্বীকার করে নেয় ঘটনাটি তারাই ঘটিয়েছে। হায়দরাবাদ গণধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভে, রাগে ফুঁসছিল গোটা দেশ। সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুক্রবার সকালে এনকাউন্টারের ঘটনায় উপযুক্ত ন্যায় বিচার পেল হায়দরাবাদের তরুণী, এমনটাই মনে করছে দেশবাসী।