কলকাতা:- ক্রমশ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা। মাইক্রো ফ্যামিলির সমাজ ব্যবস্থায় বৃদ্ধ পিতা-মাতার ঠাঁই হয় না দু কামরার ফ্ল্যাটে। ৮ টা-৫টায় বেঁধে যাওয়া জীবনের গতিতে ক্রমশ ছিন্ন হয়ে পড়ছে নাড়ির টানও। একাকিত্বের প্রাচীরে ডুকরে কাঁদছে বার্ধক্য। অবহেলা আর দেখভালের অভাবে বৃদ্ধ অভিভাবকের ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম। কিন্তু এই ছবিটা বদলে ফেলতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন। প্রবীন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আইন আসছে খুব শীঘ্রই। বৃদ্ধ পিতা-মাতার দায়িত্ব না নিলে এবার সন্তানের হতে পারে ৬ মাসের জেল।
বুধবার লোকসভায় এমনই বিল পেশ করেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। লোকসভায় ওই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের মন্ত্রী থেবরচন্দ গেহলট। ‘দ্য মেনটেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অব প্যারেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেন্স অ্যামেন্ডমেন্ট ২০১৯’ বিলে বলা হয়েছে, বৃদ্ধ বাবা-মাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করলে সন্তানদের ৬ মাস পর্যন্ত জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। এমনকি পিতা-মাতাকে আর্থিকভাবে বঞ্চনা করলে সন্তানের বিরুদ্ধে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে মনে করা হবে।
বিল অনুসারে বাবা-মা বলতে বোঝানো হয়েছে মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং সৎ বাবা-মা কেও। অন্যদিকে সন্তান হিসাবে, ছেলে, মেয়ে, বউ, জামাই, নাতি-নাতনি এবং দত্তক পুত্র বা কন্যাকে বোঝানো হয়েছে। বৃদ্ধ পিতা-মাতার উপর অন্যায়ের অভিযোগ উঠলে তার দ্রুত বিচার হবে ট্রাইব্যুনাল কোর্টে। ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে সন্তানের। এছাড়া মামলা চলাকালীন পুলিশি সুরক্ষা দেওয়া হবে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে। চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবে সরকার।