ওয়েব ডেস্ক:- “তুমি তো সারদা, সরস্বতী, লোক শিক্ষার্থে নিজের রূপ গোপন করে এসেছো।” মাতৃরূপে নিজের স্ত্রীকে পূজা করার পর এমনটাই বলেছিলেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। জীবনসঙ্গিনী তো বটেই, মাত্র ৫ বছর বয়স থেকেই ঠাকুরের সাধনসঙ্গিনী ছিলেন শ্রী মা সারদা। তাঁদের দাম্পত্যের মধ্যেই পালিত হয়েছিল গার্হস্থ্য থেকে সন্ন্যাসজীবন। সন্তান তুল্য শিষ্যদের নিয়ে চার দেওয়ালের গোন্ডির বাইরে তাঁদের সংসার জীবন জড়ে উঠেছিল মানব জীবনের আদর্শ ও শিক্ষার প্রচারের জন্য।
এদিন শ্রী মায়ের ১৬৭ তম জন্মতিথি উৎসব উদযাপনে জয়রামবাটিতে মায়ের পৈত্রিক ভিটেয় আগমন হয়েছে অসংখ্য ভক্তের। মঙ্গলারতির মাধ্যমে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বিশেষ পুজার্চনা। মাতৃমন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বামী ধ্যাননিষ্ঠানন্দ বলেন, ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর মহাপুণ্যলগ্নে জন্ম হয় শ্রীমার।
আজ তাঁর ১৬৭ তম জন্ম তিথি। সারদা মায়ের জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশ থেকে অগণিত ভক্তের সমাগম হয়। আজকের পৃথিবীতে ক্ষমা ও ভালোবাসা ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে।
তাই মায়ের কাছে টান ক্রমশ বাড়ছে।সারদা মায়ের জন্মতিথিতে প্রতিবছরই সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ধর্মসভা। এ বার কামারপুকুর মঠের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দ মহারাজ সেই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে তিনি জানান। সকালে মাতৃমন্দিরের সন্যাসী, স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জয়রামবাটির বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করা হয়। একইভাবে এদিন বেলুড় মঠেও পালিত হল শ্রী মা সারদার জন্মতিথি। সকালে প্রভাতফেরি ও বিশেষ পুজার আয়োজন হয়েছে সেখানেও। দুপুরে প্রসাদ ও বিকেলে সন্ধ্যারতি দেখে বাড়ি ফিরবেন ভক্তরা।