ওয়েব ডেস্ক:- খোসা চিপে একটু রস চোখে দিলেই জ্বালা। টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের বন্ধুর সঙ্গে শীতের দুপুরগুলোর খুনসুটির গল্প কোনদিনও পুরনো হয় না। তেমনই পুরনো হয়না দার্জিলিং কমলালেবুর স্বাদ। শীত পড়তেই বাজারে কমলালেবুর চাহিদা কিন্তু প্রতিবছরের মতোই রয়েছে। লেবুর রসে নয়, বাজারে লেবুর জোগান দিতে গিয়ে এবছর চোখে জল আসছে দার্জিলিং-এর কমলালেবু চাষিদের। শৈলরানি দার্জিলিং শহরে শীত এসেছে যথা সময়। সেই সঙ্গে কমলালেবুর গাছে ফল ধরেছে, তবে পাকার আগেই গাছ থেকে খসে পড়তে শুরু করেছে কমলা সুন্দরী।
এই পরিস্থিতিতে চাষিদের বক্তব্য, কিভাবে বাজারে জোগান দেবেন কমলালেবুর! গাছের রোগ, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপানা এবং পোকা মাকড়ের তাড়নায় পাকার আগেই গাছ থেকে নিজে নিজে নেমে পড়ছে কমলালেবু। শীতের এই সময় পাহাড়ের মংপু, লাবডা, তুরুক সহ প্রায় সমস্ত জায়গায় বাগানগুলির সবুজ রঙ বদলে কমলা হয়ে যায়।
নাওয়া খাওয়া ভুলে চলে খেতের ফসল বাজারে পাঠানোর তোড়জোড়। সেখানকার চাষিদের বক্তব্য, শুধু যে ফল ঝরে যাচ্ছে তাই নয়। ফলের আকার আগের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়েছে। সময়ের আগে গাছ থেকে পড়ে যাওয়ায় বেশ টক থেকে যাচ্ছে কমলালেবু স্বাদ।
শীতে পাহাড়ের একমাত্র অর্থকারী ফসলের এমন অবস্থা দেখে অনেক চাষি বিকল্প চাষের কাজে মন দিয়েছেন। পোকার আক্রমণে প্রচুর টাকার ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে এই বছর। তবে হর্টিকালচার দফতরের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মহাদেব ছেত্রী বলেন, “কিছু সমস্যা থাকলেও কমলালেবু চাষের উন্নতির দিকেই তাকিয়ে আছি, সমস্যার সমাধানের চেষ্টাও করছি। তবে চাষিদের কথায় তেমন কিছু সাংঘাতিক অবস্থা সৃষ্টি হয়নি কমলালেবু চাষে।” চাষিদের বক্তব্য, সরকার এগিয়ে আসলে তবেই এই চাষ ধরে রাখা সম্ভব।