ওয়েব ডেস্ক:- “দশ দিন হল আমার মেয়ে চলে গিয়েছে, এবার হয়তো ওর আত্মার শান্তি হল।” ৪ ধর্ষকের এনকাউন্টারে মৃত্যুর পর এমনটাই বললেন হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা। শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মান করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছায় পুলিশ। সেই সময় সুযোগ বুঝে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে ৪ অভিযুক্ত। সেই মুহুর্তে পুলিশ গুলি চালায়। পালাতে গিয়ে পুলিশের ছোঁড়া গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় ৪ ধর্ষকের। এনকাউন্টারে ৪ ধর্ষককে খতম করার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। হায়দরাবাদ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে দেশবাসী। খবর পৌঁছায় নির্যাতিতা তরুণী পশুচিকিৎসকের বাড়িতেও।
এনকাউন্টারের ঘটনায় খুশি হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা, সরকার ও পুলিশের ভূমিকায় তিনি খুশি। তিনি বলেন, “দশ দিন হয়ে গেল আমার মেয়েটা চলে গেছে। তার পরে শাস্তি হল ওর অপরাধীদের। সরকার ও পুলিশের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এবার নিশ্চয় শান্তি পাবে আমার মেয়েটা।” ঘটনা প্রসঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে রেখা শর্মা বলেন, “এই এনকাউন্টারের খবরে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি খুশি। কারণ আমরা অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আইনি পথে হলেই ভাল হতো। তবে পুলিশের উপর ভরসা রাখছি আমরা। কখন, কোন পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটলো, সেটা তারাই ভাল বিচার করতে পারবে।”