ওয়েব ডেস্ক:- প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করল আমেরিকান কংগ্রেসের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস। আমেরিকার আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা বেশি। সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধিই ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এখন তাঁকে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে রাখা না-রাখা নির্ভর করছে উচ্চকক্ষ সেনেটের উপর। সেখানে রিপাবলিকানদের পাল্লা ভারী। সেনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৫৩টি আসনে এখন রিপাবলিকান সেনেটর। যদি সেনেট হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ইমপিচমেন্টে সায় না-দেয়, তাহলে যথারীতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় রয়ে গেলেন। পরবর্তী ভোট এলে যা-হওয়ার তা হবে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে যেমন ইমপিচমেন্ট মামলা হয়েছে, সেনেটে ঠিক সেইভাবেই ট্রাম্পের বিচার করতে হলে তা করার ক্ষমতা একমাত্র আমেকিান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরই রয়েছে।
কিন্তু নিম্নকক্ষ ইমপিচমেন্ট করলেই সেনেট তা সমর্খন করবে কি না, সেটা সেখানকার ৬৩ জন সেনেটরের উপর নির্ভর করছে। চাইলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনেটর কোনও প্রমাণ না-দেখেই মামলা খারিজ করে দিতে পারেন। যদিও সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমেরিকার ৪৮.৫ শতাংশ করদাতা নাগরিক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করার পক্ষে সায় দিয়েছেন। আর ৫৪.৩ শতাংশ নাগরিক ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে চাইছেনই না।
এখন আমেরিকার নাগরিকদের এই মনোভাব বুঝে সেনেট যদি ইমপিচমেন্টে রাজি হয়, তাহলে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সেখানকার দুই-তৃতীয়াংশ সেনেটরের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর। সেইমতো প্রক্রিয়া এগলে এক রকম। না হলে আমেরিকান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেই হয়তো এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হবে।