কলকাতা:- নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে রাজ্যজুড়ে বেনজির তোলপাড় কাণ্ড! কেন্দ্রীয় আইন হলেও এনআরসি-র ও ক্যাবের প্রতিবাদ প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই কেন্দ্রীয় আইন কোনভাবেই রাজ্যে লাগু হবে না, রাজ্য থেকে কেন ধর্মের মানুষকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না, এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল উত্তর কলকাতায় মিছিল করার পর আজ মুখ্যমন্ত্রী মিছিল শুরু করেছেন দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের ৮-বি বাসস্ট্যাণ্ড থেকে। “প্রত্যেকেই দেশের নাগরিক, সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ সামনে রেখে কাউকেই বাংলা ছাড়তে দেওয়া হবে না।” জানিয়েছেন নেত্রী।
পাশাপাশি শান্তিতে থাকা, দেশ ভাগ হতে না দেওয়া এবং ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের শপথ নিয়ে এবং শঙ্খ ধ্বনির মধ্যে দিয়ে এদিন আন্দোলনের সূচনা করেন নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন মিছিলে পা মিলিয়েছেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও সাংসদ। উপস্থিত আছেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। এদিন যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যাণ্ড থেকে মিছিল শুরু করে ঢাকুরিয়া সেতু, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ হয়ে ভবানীপুরের যদুবাবু বাজারে পৌঁছাবে। সংসদে সংখ্যার জোরে সংবিধান বিরোধী আইন পাশ করাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিনের মিছিল থেকেও ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার দিয়ে বলেন, কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না।
এদিন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গেও টানেন নেত্রী। গোটা দেশে ছাত্রদের আন্দোলনের সমর্থন জানালেন মমতা। পাশাপাশি বেকারত্ব, পেঁয়াজের দাম এমনকী নোটবন্দির কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন এদিন। যাঁরা হিংসাত্মক কাজ করেছেন ইতিমধ্যেই অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন বলেই এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। দুই কলকাতায় মিছিল শেষ হলে এনআরসি-র বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্লকে ব্লকে আন্দোলন কর্মসূচী চলবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।