দক্ষিণ ২৪ পরগণা: দেশের অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির তুলনায় গঙ্গাসাগরে জনসমাগম অনেক বেশি হয়। মেলা শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, তার আগেই শুরু হয়ে গেছে চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি। ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শুরু হবে। তার আগেই বিক্ষিপ্তভাবে আসতে শুরু করেছে পূণ্যার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলাকে দূষণ মুক্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। সাগরকে দূষণমুক্ত রাখতে মেলায় প্লাস্টিকের ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকছে প্রশাসন। প্রতিবছরই গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয় কপিল মুনির আশ্রমে।
সেই প্রস্তুতি নিতে আগে থেকেই সাজানো হচ্ছে মন্দির চত্তর। কপিল মুনির কাহিনী স্মরণ করিয়ে দিতে নানা দেব-দেবীর মূর্তি দিয়ে সাজানো হচ্ছে আশ্রম চত্তর।এবারে নতুন করে মন্দিরের একদিকে তৈরি হয়েছে একটি সুদৃশ্য পুকুর, যার মাঝে একটা ফোয়ারা রয়েছে। এখানে বসার জায়গাও রয়েছে।
গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম চত্বরের সৌন্দর্যায়নের দায়িত্ব নিয়েছিল গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। এই কাজও তারাই করেছে। গঙ্গাসাগরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই গঙ্গাসাগরে বানানো হয়েছে অস্থায়ী শৌচালয়। তবে যে সংখ্যক মানুষের সমাগম হয় গঙ্গাসাগরে সেই তুলনায় শৌচাগার কমই রয়েছে।
তবুও মেলাস্থল পরিষ্কার রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার মেলা শুরু আগে থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে মেলার প্রস্তুতিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। বেশ কিছু জায়গায় জল জমেছে। শুক্রবার দিনভর বর্ষণের জেরে মেলায় আগত সাধুবাবাদের আখড়ায় জল জমেছে। আশ্রমে আগত দর্শনার্থীরাও সময় মতো মন্দির দর্শন করতে পারেননি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটবে। ফলে মেলা চলাকালীন সমস্যায় পড়বেননা দর্শনার্থীরা।