Date : 2024-04-26

হাজার কিলোমিটার দূর থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ

ওয়েব ডেস্ক: ঘটনার কথা শুনলে মনে হবে রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার ফিল্মের কাহিনী চলছে আপনার সামনে!

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যেদিন তাদের সোশ্যাল মিডিয়া বা সাইবার সেল বিভাগ চালু করা সেদিন তারা ভাবতেও পারেননি যে প্রায় ১০০০ কিমি দূরে থাকা কোন প্রাণকে এভাবেও বাঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব। ঘটনার সূত্রপাত গুয়াহাটির ন’তলা আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে একটি ঘরে ফেসবুক লাইভ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করছিলেন এক মহিলা। গলায় দড়ি দিয়ে প্রায় আত্মহত্যা করেও ফেলেছিলেন। কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় রুদ্ধশ্বাস অপরেশন চালানোর পর উদ্ধার করা হল মহিলাকে।

বাস কন্ডাক্টর থেকে আইএএস অফিসার! বেঙ্গালুরুর যুবকের সাফল্যকে কুর্নিশ গোটা দুনিয়ার

মঙ্গলবার প্রায় মধ্যরাতে হঠাৎ কলকাতা পুলিশের কাছে ফেসবুক অথরিটির পক্ষ থেকে মেল আসে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট আইডি দিয়ে বলা হয় এই প্রোফাইল ব্যবহারকারী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছেন। মুহুর্তের মধ্যে ফেসবুক প্রোফাইলটি খুলে কলকাতা পুলিশের আধিকারীকদের চোখ কপালে ওঠে। দেখা যায় এক মহিলা কষে একটি দড়ি বেঁধেছেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে। ভিডিওটি দেখেই ফেসবুক প্রোফাইলটা ট্রাক করতে শুরু করেন গোয়েন্দারা।মিনিট খানেক পেরনোর আগেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন ওই অ্যাকাউন্টটি গুয়াহাটি থেকে অপারেট হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় গুয়াহাটি কমিশনারেটে। গুয়াহাটি কমিশনারেট যোগাযোগ করে চ্যাংসারি থানার সঙ্গে। ওই মহিলা যে আবাসনের বাসিন্দা সেটি ওই থানা এলাকাতেই। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঘটনা।

বিপদে পড়েছেন? পাশে আছে কলকাতা পুলিশের ‘বন্ধু’

মহিলা গলায় ফাঁস দিয়ে পা থেকে টুল ফেলে দিতে যাবে এমন সময় বাতাসের গতিতে সেখানে এসে উপস্থিত হয় চ্যাংসারি থানার পুলিশ। দরজা ভেঙে মহিলাকে উদ্ধার করে তারা। মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। গুয়াহাটি পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই মহিলা অবসাদগ্রস্থ ছিলেন। তবে ঘটনায় অনেকগুলো প্রশ্ন আসছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের তরফে পূর্ব-ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী হিসাবে শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশের কাছেই কেন নোটিফিকেশন এলো? কয়েক মাস আগে কলকাতার পিকনিক গার্ডেনের এক যুবকের আত্মহত্যা করার চেষ্টা এভাবেই ফেসবুকের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের কাছে পৌঁছায়।তৎক্ষণাৎ তারা মনোবিদকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এবারের ঘটনাও নিঃসন্দেহে কলকাতা পুলিশের কাছে বড় সাফল্য।